চাল বিতরণ করা হলেও উপস্থিত ছিলেন না ট্যাগ অফিসার
দামুড়হুদা ব্যুরো: করোনা সংক্রমণরোধে সরকারিভাবে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও মাঠ পর্যায়ে তা মোটেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হলেও তা মানছেন না অনেকেই। কেউ কেউ মাস্ক সাথে নিয়ে আসলেও তা মুখে পরিধান না করে রেখে দিয়েছেন পকেটে। কেউ বা গুজে রেখেছেন মাজায়। গতকাল শনিবার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ’র চাল নিতে আসা নারী-পুরুষের দীর্ঘলাইন দেখে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি তাদের। মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। চাল বিতরণকালে ইউনিয়ন পরিষদে দেখা মেলেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারের। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী এবং সচতেনতার অভাবেই সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার সুযোগ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সচেতনমহল।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের দিনধার্য ছিলো গতকাল শনিবার। বেলা ১১টার দিকে এলাকার অনেকেই মোবাইলফোনে জানান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ’র চাল করা হচ্ছে। চাল নিতে আসা নারী-পুরুষের দির্ঘলাইন। অথচ মানা হচ্ছে না শারীরিক দুরত্ব। কারো মুখেই মাস্ক নেই। চালের জন্য দীর্ঘলাইনে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ। এমন খবর পেয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদে। খোঁজ করা হয় সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারের। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিনকে পাওয়া যায়নি। ট্যাগ অফিসারকে দেখতে না পেয়ে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের সময় ফোন করা হয়। তিনি ফোনটি রিসিভ না করলেও ১১টা ২৮ মিনিটের সময় কলব্যাক করেন ট্যাগ অফিসার আব্দুল মতিন। আপনি কোথায় জানতে চাইলে ওনি বলেন, আমি বাইরে আছি। তবে আমি একজন প্রতিনিধি রেখে এসেছি।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব শামীম রেজাকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, আমার কি করার আছে আপনি বলেন। এরপর ফোন করা হয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের কাছে। ওনিও ফোনটি রিসিভ করেননি। শেষমেষ বাধ্য হয়েই বিষয়টি জানানো হয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দুদফা কথা হয়। ওনি বলেছেন খোঁজ নিয়ে জেনেছি ট্যাগ অফিসার না কী ছিলেন। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ভিজিএফ’র চাল বিতরণের বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, পরবর্তীতে মাস্ক ছাড়া কাউকে চাল দেয়া হবে না। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চাল নিতে আসতে হবে।