দামুড়হুদায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ : ৪ জনের নামে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের স্কুলছাত্রীর (১৫) সাথে চিৎলা কদমতলাপাড়া খালিদুজ্জামানের ছেলে আসিফ হোসেন (২০) গত চার বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সম্পর্কের জেরে আসিফ স্কুলছাত্রীর সাথে বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে স্কুলছাত্রীর নানীবাড়ি থাকাবস্থায় আসিফ হোসেন স্কুলছাত্রীর শোবার ঘরে গোপনে প্রবেশ করে। এ সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে স্কুলছাত্রী তার প্রেমিককে বিয়ের কথা বললে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তার নানী বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সহায়তায় আসিফ স্কুল ছাত্রীকে আবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য কু-প্রস্তাব দেয়। তখন স্কুলছাত্রী আসিফের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় মেয়েটি জোরে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্ত আসিফসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন পালিয়ে যান। পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত আসিফকে ১নং আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের নামে বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, আমার পিতা দীর্ঘদিন আগে মারা গেছেন। যার ফলে আমার বৃদ্ধ মা একাই থাকতেন। মায়ের একা থাকার জন্য মেয়েটিকে তার নানীর কাছে রেখে দিই। সোমবার দিবাগত রাতে আসিফ আমার মেয়ের ঘরে ঢুকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। মেয়ে রাজী না হওয়ায় জোরজবরদস্ত করতে গেলে চিৎকার দেয়। ওই সময় স্থানীয়রা ছুট এলে আসিফসহ তার সঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায়। ওই রাতেই আসিফের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো দায়িত্ব নেননি। পরে আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনের আশ্রয় নিই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসিফ হোসেন একজন নারীলোভী। তিনি বিভিন্ন মেয়েকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সামাজে কেলেঙ্কারীর ভয়ে অনেকে মুখ খুলছে না। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হলে সকল কুকর্মের কথা তিনি অকপটে স্বীকার করবেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।