দামুড়হুদার মদনায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা : বিএনপি নেতার বাড়িতে বসে মীমাংসা

বিশেষ প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার মদনায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী খলিলের ছেলে নুরুজ্জামান (১৫) ও জলিলের ছেলে হুসাইনের (১৬) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ঘটায় শিশুটির পরিবার থানায় মামলা করতে পারছেনা বলেও জানিয়েছেন। এলাকার সচেতন মহল জানায়, সম্প্রতি সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সারা দেশব্যাপী আন্দোলন বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলায় একইদিনে দুটি শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে গেলো। মেয়েটির মা, দাদী ও ভাই পলাশ জানান, অভিযুক্ত হুসাইন ও নুরুজ্জামান আমার প্রতিবেশী। বেকার ছেলে ইতোপূর্বে তারা সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নুরুজ্জামানের বাড়ির পাশে ওই শিশুকন্যা খেলা করছিল। এ সময় নুরুজ্জামান ও হুসাইন প্রলোভন দেখিয়ে খেলার ছলে তাকে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে শিশুটির মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। বাঁশবাগানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে অপকর্মের চেষ্টা করে নুরুজ্জামান ও হুসাইন হাত ও মুখ টিপে ধরে রাখে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করে উঠলে এলাকার সাধারণ মানুষ দ্রুত ছুটে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় নুরুজ্জামান ও হুসাইন সকলের সামনে বলে কারো বললে তোকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলবো। ভুক্তভোগী মেয়েটির মা আরও বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পরও লজ্জা শরমের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু ইতোমধ্যে বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের লোকজন নুরুজ্জামান ও হুসাইনকে মাঠ থেকে তাড়িয়ে ধরে নিয়ে বেঁধে রাখে পুলিশে দেবার জন্য। কিন্তু গ্রামের থানা বিএনপির সদস্য পরিচয়দানকারী মো. ইসরাফিল হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা রাতে বসে শালিস করে এবং মাপ চেয়ে নেয়। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ইসরাফিল হোসেন জানান, আমি বিচার করিনি, উভয়ের মধ্যে মীমাংসা করে দিয়েছি। এদিকে আইনে বলা আছে নারী নির্যাতন বা শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা যোগ্য না। পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শফিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আজিবর মিয়া জানান, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, কিন্ত মীমাংসা হলে প্রকাশ্যে হবে কেনো একজনের বাড়ির ভেতরে গোপনে হবে। বিষয়টি গ্রামের অনেকেই রহস্যজনক বলে মনে করছে। এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র জানান, এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি, তার পিতা-মাতা আত্মীয়স্বজন কোনো অভিযোগ দিলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More