এমআই মিরাজঃ দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের জীবন সংগ্রামে হার না মানা গৃহবধু পারভীনার পাশে দাঁড়িয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। গতকাল শনিবার বিকেলে দামুড়হুদার উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের চৌধুরিপাড়ার শারিরিক প্রতিবন্ধী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী পারভীনা খাতুন কে সাবলম্বী করতে সহযোগিতা করেছেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, দামুড়হুদার উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের চৌধুরিপাড়ার শারিরিক প্রতিবন্ধী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী পারভীনা খাতুন অভাবের সংসারে জীবন সংগ্রামের এক মাত্র সম্বল মুদি দোকান চালিয়ে কোনো রকম জীবন যাপন করতেন। চলামান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি লকডাউন ঘোষণ করার পর থেকে থমকে যায় তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন। সংগ্রামী নারী তার একমাত্র জীবন সংগ্রামের সম্বল মুদি দোকানের আয় থেকে তার পরিবারের বৃদ্ধ শ্বশুর, শাশুড়ি প্রতিবন্ধী স্বামী ও সন্তানের দুবেলা দু’মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতো। অথচ করোনা কালে সেটাও বন্ধ হওয়ার প্রায়। বিষয়টি নজরে আসে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের। চলমান সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৪র্থ দিনে পারভীনার পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে তার এক মাত্র মুদি দোকানের জন্য কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য কিনে দিয়ে দোকানটি সাজিয়ে দেয় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ সহযোগিতা পেয়ে সংগ্রামী নারী পারভীনা খাতুনের চোখেমুখে আনন্দের প্রতিচ্ছবি ভেঁসে উঠে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গা কে বলেন, দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামে গৃহবধু পারভীনা খাতুন প্রতিবন্ধী স্বামী,শ্বশুর,শাশুড়ি ও সন্তান নিয়ে অন্নেন সংস্থানে তাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়। এরই মধ্যে কঠোর লকডাউনে তাদের জীবন যাপন থমকে যায়। পারভীনা খাতুনের মিনতি ছিলো যদি কেউ তার একমাত্র জীবিকা নির্বাহের বন্ধ প্রায় মুদি দোকানটিতে কিছু মালামাল কিনে দিতো । তার সেই মিনতি থেকে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ভাগ্যেও চাকা সচল করতে মুদি দোকানের কিছু মালামাল কিনে দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাজির ওমর ফারুক, নির্বাহী অফিসের আইসিটি টেকনিশিয়ান খাইরুল কবির দিনার।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ