দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় রোদে দাঁড় করিয়ে স্কুলছাত্রীর শাস্তি
শিক্ষককের শাস্তি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় রোদে দাঁড় করিয়ে স্কুলছাত্রীর শাস্তি দেয়ার ঘটনায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন স্কুলছাত্রীর পিতা শাহীন হোসেন। গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই স্কুলছাত্রী রুবাইয়া খাতুনকে বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোদে দাঁড় করিয়ে স্কুলছাত্রীর শাস্তির ঘটনাটি বুধবার দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা আশীর্বাদ এজি স্কুল অ্যান্ড হোস্ট সেন্টারে ঘটে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রুবাইয়া (১১) বুধবার সকালে স্কুলে যায়। ওইদিন বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক নদী ম-ল ক্লাসে চিঠি লিখতে বলেন। চিঠি লেখা ভুল হওয়ায় নদীয়া ম-ল তাকে প্রখর রোদে সূর্যের দিকে মুখ করে জিভ বের করে আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় শিশুছাত্রী রুবাইয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাকে পরদিন বৃহস্পতিবার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। পরে তার শরীরে প্রচ- জ্বর আসে। সে ঠিক মতো কথা বলতে পারছিলো না। এ অবস্থায় পুনরায় শুক্রবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ভর্তি রয়েছে রুবাইয়া। রুবাইয়ার পিতা শহীন হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়েকে দেড়ঘণ্টা ধরে শাস্তি দিয়েছেন নদীয়া ম-ল। আমি তার শাস্তি চাই। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এ ব্যাপারে এজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিতালী ম-ল ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণে ছিলাম। এ জন্য নদীয়া ম-ল নামের এক অতিথি শিক্ষককে ওইদিন স্কুলের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলাম। তিনিই এমন কা- ঘটিয়েছেন। আমরা শিশুটিকে হাসপাতালে দেখতে এসেছি। অভিভাবকদের কাছে এমন ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। ডাক ফাইলে শিশুটির বাবা অভিযোগ করেছেন। আমি আগামীকাল (আজ) সোমবার অফিসে যেয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।’