স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া আরও ১৯ জন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারতের গেদে চেকপোস্ট হয়ে দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশ করেন ওই বাংলাদেশিরা। তবে আজও কেউ করোনা শনাক্ত হননি। এনিয়ে গত ১৩ দিনের মোট ৭২৫ জন বাংলাদেশি দেশে প্রবেশ করলেন।
দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, ভারতের কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯ জন বাংলাদেশি দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশ করেন। সেখানে আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেকের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। তবে কেউ করোনা শনাক্ত হননি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশের অভিবাসন শাখা (ইমিগ্রেশন) ও শুল্ক বিভাগের (কাস্টমস) আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে তাদের নির্ধারিত পরিবহনযোগে (মাইক্রোবাস) ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও আবাসিক হোটেল শয়ন বিলাসে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম জানান, গতকাল দেশে ফিরেছেন ১৯ জন বাংলাদেশি। এ নিয়ে গত ১৩ দিনে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে মোট ৭২৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন। এ পর্যন্ত মোট ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, ভারত ফেরত ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকী ২ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ও ২ জনকে আবাসিক হোটেল শয়ন বিলাসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, র্যাপিড টেস্টে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ফেরত ১৯ জনের কারও শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ