দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিকাশ প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে দর্শনা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বিকাশ প্রতারক দু’জনকে গত পরশু মঙ্গলবার দিনগত রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানানো হয়। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলার দিকনির্দেশনায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে দর্শনা থানাধীন পুরাতন বাজার ‘দোয়েল মেডিকেল হল’ হতে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ১০টায় দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর স্কুলপাড়ার তাইজুল ইসলামের ছেলে তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০) বিকাশ প্রতারণার টাকা উত্তোলন করার সময় নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনা করে প্রতারণাচক্রের মূলহোতা অপর আসামি নাটোরের লালপুর উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের মরহুম জাবেদ সরদারের ছেলে স্বপন আলী হৃদয়কে (২৮) সদর উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া রায়পাড়ার জনৈক জাহিদুল ইসলামের বসতবাড়ি হতে মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টায় গ্রেফতার করা হয়। স্বপনকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিকাশ প্রতারণার কথাসহ জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের কথা অকপটে স্বীকার করে। তিনি আরও জানান, আসামি স্বপন আলী হৃদয় বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে প্রতিনিয়ত সাধারণ জনগণের নিকট হতে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অপর আসামি তাকবির ইসলাম রিয়াদের মাধ্যমে দর্শনা এলাকার বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে টাকা তুলে নিতো। সহযোগী প্রতারক রিয়াদ টাকা তুলে তার লভ্যাংশ রেখে বাকি টাকা স্বপন আলী হৃদয়ের নিকট পাঠিয়ে দিত। আসামি দু’জন পরস্পর যোগসাজশে বিগত দুই মাসে পঞ্চাশ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে লেনদেন করেছে। গ্রেফতার করা ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা করা হয়েছে এবং সহযোগী অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.