দর্শনা অফিস: মাত্র দেড় মাসের মাথায় ফের দর্শনায় পেটে বাছুরসহ গাভী গরু জবাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ওই মাংস বিক্রিকালে হয় জানাজানি। মাংস নিয়েই পালিয়েছে অভিযুক্ত ৫ কসাই। এ নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে চরম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শাস্তির দাবিতে ফুঁসেছে ব্যবসায়ীরা। ধরা পড়েনি কেউ, হয়নি কোন মামলা। গতকাল রোববার প্রথম রোজার দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দর্শনা পৌর পিলখানায় গাভীন গরু জবাহের জন্য নেন রেলবাজারের কয়েকজন কসাই। এ সময় পৌরসভার পক্ষ থেকে সিল মেরে চলে আসেন জনৈক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি। গরু জবাইয়ের পর পেটে বাছুর পাওয়া গেলে তা তড়িঘড়ি করে পিলখানা সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীতে বস্তাভর্তি করে ফেলে দেয়া হয়। এ দৃশ্য দেখে ফেলেন বাজারের আরেক মাংস ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন। নাসির ওই মরা বাছুর নদী থেকে তুলে অভিযুক্ত কসাই রফিক, শামীম, মামুন, কালু ও সাজুকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছেন বলে জানান। পরে ওই মাংস বাজারে বিক্রিকালে নাসির উদ্দীন ওই মরা বাছুর নিয়ে হাজির হয়েছেন বাজারে। বিষয়টি জানাজানি হলে জনরোষের মুখে মাংস নিয়েই পালিয়েছেন ওই ৫ কসাই। এ নিয়ে বাজারে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দর্শনা পৌর প্রশাসক, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএইচ তাসফিকুর রহমান। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এদিকে গত রাত ১০টা পর্যন্তও ওই মাংস থানা হেফাজতে জমা দেননি অভিযুক্তরা। এদিকে গত ১৪ জানুয়ারি একই ঘটনা ঘটে দর্শনা রেলবাজারে। ভোক্তাদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে পিলখানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে সঠিক দায়িত্ব পালনের।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গায় আত্মবিশ্বাসের উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণকালে ইউএনও
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.