দর্শনায় ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে আখক্ষেতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নগদ টাকাসহ পাখিভ্যান ছিনতাই

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার কোটালী-ছোটশলুয়া সড়কে মুহাম্মদ রনজু নামের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার হাত-পা বেঁধে আখক্ষেতে ফেলে রেখে পাখিভ্যান ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। এই ভ্যানটিই ছিলো তার একমাত্র রুটিরুজির সম্বল। রঞ্জু মিয়া কৌশলে প্রাণ রক্ষা পেলেও ভ্যানটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গতকাল রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে কোটালী গ্রামের ফাকা মাঠে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মুহাম্মদ রনজু ছোটশলুয়া গ্রামের কুমিল্লাপাড়ার সিদ্দিক বেপারির ছেলে। দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রনজু দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমি প্রায়ই কোটালী বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও বেচাকেনা শেষ করে মাগরিবের পর এশার আগ মুহূর্তে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। কোটালী বাজার ছেড়ে কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের ফার্মের মোড় পার হওয়ার পরই তিনজন ব্যক্তি আমাকে অবরোধ করে। তাদের মুখ বাঁধা ছিলো এবং দেশীয় ধারাল অস্ত্র (হাসুয়া-দা) ছিল তাদের কাছে। তারা আমাকে ভ্যান থেকে নামিয়েই ভ্যানের সামনের লাইট ভেঙে ফেলে। এরপর আমাকে টেনেহিঁচড়ে পাশের আখক্ষেতের ভেতরে নিয়ে মাফলার দিয়ে মুখ বাঁধে। আমার পরনের লুঙ্গী ছিড়ে পা দুটি বাঁধে। এরপর আমার কাছে থাকা নগদ এক হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ভ্যানটি নিয়ে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর আমি দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে হাতের বাঁধন খুলে রাস্তায় এসে দেখি ভ্যানে থাকা ঝালমুড়ির সরঞ্জামাদি রেখে ভ্যান নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা থানা পুলিশকে জানান। দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More