তিনটি পদে ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা কাল
দামুড়হুদার নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
স্টাফ রিপোটার: দামুড়হুদার নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোটাঅঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনটি পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পাশ কাটিয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আজিজুল হক ও অভিভাবক সদস্য ভগিরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তানজুল ইসলাম তিনটি পদে মোটাঅঙ্কের টাকায় রফা করেছেন মর্মে এলাকার একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চক্রটি ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে সাজানো পরীক্ষা দেখিয়ে ৩টি পদে লোক নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন। আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার নামে সাজানো নাটক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ভুক্তভোগী মহলের এমনটাই প্রত্যাশা। স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল হক ও অভিভাবক সদস্য ভগিরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তানজুল ইসলাম যোগসাজশ করে সম্প্রতি ৩টি প্রার্থীর সাথে গোপনে ৩৮ লাখ টাকার সমঝোতা করেন। টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ পেতে যাওয়া ৩ জনের নাম ইতোমধ্যেই এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভুক্তভোগীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জোর দাবি তুলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, অফিস সহায়ক পদে নতিপোতা গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে নুর হোসেনের কাছে ১৫ লাখ টাকা, নিরাপত্তাকর্মী পদে কালিয়াবকরি গ্রামের শ্রী সুকিম হালদারের ছেলে শ্রী সন্তোষ হালদারের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা এবং নৈশপ্রহরী পদে গয়েশপুর গ্রামের হাফিজুলের ছেলে আব্দুল্লাহর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩টি পদে অন্তত ১৬ জনের আবেদনপত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে অফিস সহায়ক পদে ৮ জন, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৩জন ও নৈশপ্রহরী পদে ৫ জনের দরখাস্ত জমা পড়ে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক (সদস্য সচিব)। নিয়োগের প্রবেশপত্রে তার স্বাক্ষর করার বিধান রয়েছে। অথচ তাকে বাদ দিয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আজিজুল হক তিনটি প্রবেশপত্রেই নিজে স্বাক্ষর করেছেন। আবেদনকারী ১৬ জনকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রেজাউল হক মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ে এসে প্রবেশপত্র নিয়ে যেতে বলেছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হককে মোবাইলফোনে পাওয়া না গেলেও বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আজিজুল হক বলেছেন, লোকবলের অভাবে বিদ্যালয়ে কাজের ক্ষতি হচ্ছে। টাকা পয়সার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি টাকাও নেয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।