স্টাফ রিপোর্টার: ‘তামাক চাষেও ক্ষতি, ব্যবহারেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। ফলে তামাকবিরোধী গণজাগরণ গড়ে তুলে তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপরোক্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল কাজে আগ্রহী করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। শিশু কিশোরদের কৌতুহলী মনকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে জাতি উপকৃত হবে। ছোট গল্প, বাইপড়া, কবিতা লেখাসহ এ ধরনের সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে পারলে আজকের শিক্ষার্থীরা দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। বিশে^ আমরা সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।’
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তামাকবিরোধী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘পাবলিক প্লেসে ধুমপান বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনায় সচেতনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও অভিযানের ফলে গণপরিবহনসহ পাবলিক প্লেসে প্রকাশ্যে ধুমপানের মাত্রা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতার আলো ছড়িয়ে সৃজনশীল কাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য শিক্ষকম-লীকে বেশি বেশি কর্তব্যপরায়ন হওয়া প্রয়োজন। কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তামাক চাষে আর্থিক লাভবান হলেও চাষি নিজেরও স্বাস্থ্যগত ঝুঁিক বাড়ে। জমিও হারায় উর্বরতা।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবু সাইফ উপস্থাপিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতি দেশে প্রচালিত ধুমপান বিরোধী আইনসহ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে কতটা ভয়াবহ ক্ষতি হয় এবং হচ্ছে তার তথ্য চিত্রসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। অভিমত ব্যক্ত করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, ব্র্যাক’র চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যানেজার ফারুক আহম্মেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এনজিও, বিভিন্œ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ বেশ কিছু পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।