স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পরিবারের ওপর অভিমান করে ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে রামিম নামে এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের পাঁচকপাটের ১৪০/১ ও ১৪০/২ পিলারের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এতে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত না হলেও বিকেলে পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। নিহত রামিম হাসান (১৮) মেহেরপুর জেলার আমঝুপি গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী জহুরুল ইসলামের ছেলে। তার মা গাংনী ঈদগাপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করেন। রামিম চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পড়াশোনা কেন্দ্রিক রামিমের সাথে তার পরিবারের গ-গোল হয়। এতে সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয় রামিম। পরে সকাল পৌনে ১০টার দিন্দ্রেুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করে এই যুবক। বিকেলে পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করলে মরদেহ দেখে রামিমকে শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা। বিকেলে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, গতকাল সকালে পাঁচকপাটের অদূরে অজ্ঞাত যুবকের মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিচয় শনাক্ত হয়। পরিবারের ওপর অভিমান করে ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়টি একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে, পরিচয় শনাক্তের পর রামিমের মরদেহ নিজ এলাকায় নিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। তার বাবা জহুরুল ইসলাম সিঙ্গাপুর প্রবাসী। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি ফিরলেই দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ