ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বিএনপি দলীয় ভাবে সব ধরণের নির্বাচন থেকে বিরত থাকলেও দলীয় পরিচয় গোপন করে ঝিনাইদহ বিএনপি’র এক ঝাঁক নেতা পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জেলা নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেনি বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপি সিদ্ধান্ত নিলে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার দায়ে এসব পদধারী নেতারা বহিস্কার হতে পারেন।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি ও তার জোটের কোনো প্রার্থী নেই। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের কোথাও বিএনপির প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন না। কিন্তু ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে পৌর বিএনপির পদধারী অনেক নেতা অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি তারাও নির্বাচনী মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় তাদের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান শেখর এবারো কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ৬ নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান মিঠু পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে, পৌর বিএনপির সহ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ৫ নং ওয়ার্ড থেকে, বিএনপি নেতা তোফাজ্জেল হোসেন ৪নং ওয়ার্ড থেকে, পৌর বিএনপি’র সহসভাপতি ও সাবেক যুবদল নেতা মহিউদ্দীন ও বিএনপি নেতা আবু বকর ৭নং ওয়ার্ড থেকে, বিএনপি নেতা দুলাল শাহ ২নং ওয়ার্ড থেকে ও সাবেক পৌর মহিলা দলের নেত্রী মোছা. আনজুয়ারা খাতুন আনজু সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে তারা জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
বিএনপি’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, কাউন্সিল পদে কখনো দলীয় ব্যানারে ভোট হয়না এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত তবে দল তাদের পিছনে নেই। একজন প্রার্থী বলেন কাউন্সিলর পদে দল মনোনয়ন দেয় না কারণ একই দলে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে কাউন্সিলর পদের নির্বাচন তার নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার, তবে তিনি দলীয় ভোট পাবেন বলে আশাবাদী।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন, কাউন্সিলর পদে নেতারা অংশ নিচ্ছেন এটা আমি শুনেছি। তবে দল নির্বাচনে নেই, আর কাউন্সিলর পদে দল কখনো কারও মনোনয়ন দেয় না এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে তারা মনে করেন এই সরকারের অধীনে সকল ভোট বর্জন করা উচিৎ, সে কারণে আমরা ভোট দিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।