হাসপাতালে বাড়ছে রোগী : মানা হচ্ছে না লকডাউনে বিধিনিষেধ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে মশিউর রহমান নামের এক পুলিশ সদস্য ও মহেশপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান আশিক রয়েছেন। এছাড়াও হরিণাকু-ু উপজেলায় দুজন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাবে পরীক্ষা করা ২০৫ জনের মধ্যে ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ ভাগ। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদরে ৪৩ জন, শৈলকুপায় ১৯ জন, কালীগঞ্জে ১৬ জন, হরিণাকুন্ডুতে সাতজন, কোটচাঁদপুরে একজন ও সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরে নয়জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল তিন হাজার ৪৯১ জন। মারা গেছেন ৭০ জন।
এদিকে, জেলায় করোনা শনাক্তের হার দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও লোকজনের স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনীহা রয়ে গেছে। হাটবাজার, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়াও কেনাবেচা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। শহরের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও সে নির্দেশনাও মানতে দেখা যাচ্ছে না। গাদাগাদি করে হাটবাজারে চলাচল করতে দেখা গেছে লোকজনকে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, ৫০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছেন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫০ শয্যার নতুন আরেকটি করোনা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য ভিড়ও বেড়েছে।
হরিনাকু-ু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের হরিনাকু-ুর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত হানেফ সর্দারের পুত্র কৃষক ওমর আলী সর্দার (৬৫) করোনা আক্রান্ত হয়ে সোমবার দুপুর ২টায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করে। গত ১৬ জুন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে জ্বর সর্দি কাশিসহ আসায় তার করোনা টেস্ট করলে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ওমর আলীর স্বজনরা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ অবস্থায় সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় কুল্যাগাছা ভাতুড়িয়ার করিম ম-লের ছেলে দিনমজুর মোসলেম উদ্দীন (৬২) করোনা আক্রান্ত হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতুবরণ করেন। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ইসলামিক ফাউন্ডশনের উপ-পরিচালকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় করোনা লাশ দাফন করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ