ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ৮ নম্বর ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ও শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের পক্ষ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। গত বছরের জুলাই মাসে নায়েব আলীর সমর্থক সাইফুল ইসলামের ছেলে রানাকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করে মতিয়ার রহমান পক্ষের ইউপি সদস্য আকমাল হোসেন ও বাবলু খানের সমর্থকরা। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে সাইফুল ইসলাম।
অপরদিকে, কাশীনাথপুর গ্রামে গত ১৫ দিন আগে ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান পক্ষের একটি ধর্ষণ মামলায় আসামি হয় সাইফুল ইসলাম পক্ষের মতিন খানের ছেলে সাব্বির খানসহ (১৭) দুইজন।
আওয়ামী লীগ কর্মী সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, তিনি ও তার সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানের প্রতিপক্ষ। গত জুলাই মাসে কলেজ থেকে ফেরার পথে তার একমাত্র ছেলে রানাকে কুপিয়ে হত্যা করে কাশীনাথপুর গ্রামের মতিয়ারের সমর্থকরা। এ ঘটনায় তিনি ৩৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অধিকাংশ আসামিরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। শনিবার সকালে তিনি গ্রামেই ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে আসার পথে হত্যা মামলার আসামি বাবলু খান, সেলিম খান, মনিরুল ইসলাম, সুজাত খান, নিজাম খানসহ আরও অনেকে তার উপর হামলা চালায়। এরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি ও হামলার কথা অস্বীকার করে বাবলু খান বলেন, তার প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলামের সমর্থক মতিন খানের ছেলে সাব্বির খানসহ দুই যুবকের নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয় শৈলকুপা থানায়। এ মামলা তুলে নিতে সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা ধর্ষণ মামলার বাদী আওয়ামী লীগ কর্মী লিটন খানের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ওমর মন্ডল, রোজিনা খাতুন, সাদ্দাম মন্ডল, তুহিন খান, মসলেম খান, হুসাইন, আসলাম খান, নিজাম খান, সেলিম খান, তাইজাল খান, কুলসুম বেগমসহ ২০ জন আহত হয়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে পুশি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের আমিরের আগমন উপলক্ষ্যে দর্শনায় স্বাগত মিছিল
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.