জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ বিপ্লব নামের একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। গতকাল সোমবার ভোর রাতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর বিল কাশারির মাঠের রাস্তার পাশে থেকে উদ্ধার করে। আহত বিপ্লব হোসেন গয়েশপুর গ্রামের বুড়োর ছেলে। তিনি বর্তমান ঢাকা এওয়ান হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন।
ভুক্তোভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব মাঝে মধ্যে বাড়িতে দেরি করে ফেরে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়েছে আর আসেনি। পরে রাতে শুনতে পারে রাস্তার পাশে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলো পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হাসপাতালে যেয়ে তার অবস্থা খুবই খারাপ দেখে পরে সেখান থেকে যশোরে নিয়ে যায়। যশোরে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।
গয়েশপুর গ্রামের সুমন হোসেন বলেন, বিপ্লব যেভাবে পড়েছিলো তাতে করে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হয়ত হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সেটা সড়ক দুর্ঘটনা বলে যাতে মানুষ বিশ্বাস করে সে কাজটাই তারা করেছে। বিপ্লবের সাথে গয়েশপুর গ্রামের সুলতান ও বাবলুর সাথে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক নিয়ে দন্দ্ব ছিলো। এদের কারণে বিপ্লব অনেকদিন গ্রাম ছাড়া ছিলেন। তারা হয়তো এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে পুলিশ যদি এটা তদন্ত করে তাহলে এর সঠিক ঘটনাটি বের হয়ে আসবে। এ বিষয়ে সুলতানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এ বিষয় কিছুই জানি না।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন মইন জানান, প্রদীপ কল্পিতভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবি করছে এবং দায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।
জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ বিপ্লব নামের একজনকে গয়েশপুর রাস্তা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের পরিবারের লোকজন এসে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর নিয়ে যায়। তবে এ বিষয় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.