জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের বাজারপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় সংঘর্ষে ৬জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতরা হলেন মৃত খোসবারী মন্ডলের তিন ছেলে আতিয়ার রহমান (৬৫), হায়দার আলী (৬০), মোস্তাফিজুর রহমান (৫০), হায়দার আলীর দুই পুত্র বাপ্পি (২৮) ও স্বাধীন (২২) এবং আতিয়ার রহমানের স্ত্রী সাজিয়া খাতুন (৫৫)। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের চোখের অবস্থা খারাপ বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের বাজারের ওপর ১৯৮৬ সালে খোশবারী মন্ডলের সাত ছেলে একত্রে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে। খোশবারী মন্ডল মারা গেলে তার ছেলেরা ওই জমি নিজেদের মধ্যে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সাত পুত্রের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ওই জমির সামনের তিন শতাংশ জোরপূর্বক দখলে নেয়। এতে বাধা দেয় অন্যান্য ভাইয়েরা। তারই জের ধরে এই সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আতিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমরা সাত ভাই একত্রে থাকাকালীন ১৯৮৬ সালে মিনাজপুর বাজারের ওপর সাত শতাংশ জমি ক্রয় করি। সেই সাথে আমরা একত্রে ভোগ দখলে করে আসছি। পরবর্তীতে আমরা সাত ভাই ওই জমি ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম ওই জমির সামনের তিন শতাংশ জোরপূর্বক দখল করে এবং বাকি ভাইদের পেছনের অংশ নিতে বলে। এতে আমরা বাধা প্রদান করি এবং জমি সুষ্ঠু বন্টনের কথা বলি। সে এ কথার কর্ণপাত না করে ওই জমি ওপর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আদালত ওই জমি পরিমাপের নির্দেশ দেয়। গতকাল ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ওই জমি মাপ-জোপ করতে এলে আমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (৪৮), মহাসিন (৫৫), সাইফুল ইসলামের ছেলে রাব্বি (২০), মহসিন আলীর পুত্র হাসিব (২২), হামিদুজ্জামান টিটুর পুত্র তাজ (২২), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ববি (৪০) একত্রে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নিতে গেলে জীবননগরেও তারা হামলা করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮৬ সালে সাত শতাংশ আমরা সাত ভাই একত্রে থাকাকালীন ক্রয় করি এবং ১ শতাংশ করে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়। পরবর্তীতে আমি আমার দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। সর্বমোট তিন শতাংশে জমির ওপর ১৪ বছর আগে দোকান ঘর নির্মাণ করি। কিন্তু হঠাৎ করে আমার অন্য ভাইরা দোকান ঘর ভাঙতে বলে এবং জমি পুনরায় ভাগ করতে বলে। এতে আমি দ্বিমত পোষণ করলে তারাই প্রথমে আমার এবং আমার ছেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এছাড়াও তাদের হামলায় আমার ভাই মহাসিন মারাত্মকভাবে আহত হয় ।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
অসুস্থ নেতার পাশে দাঁড়ালেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনির
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.