জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত ৩টি আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রির্টানিং অফিসার ইউএনও এসএম মুনিম লিংকন প্রার্থীদের মাঝে এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। মেয়র পদে দলীয় ৩ জন প্রার্থীর হাতে দলীয় প্রতীক তুলে দেয়া ছাড়াও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে যে সকল আসনে একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চেয়েছেন তাদের মাঝে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। সহকারী রির্টানিং অফিসার উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা গণসংযোগসহ প্রচারণায় নেমে পড়েন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের হাতে নৌকা প্রতীক, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহাজাহান কবীরে হাতে ধানের শীষ প্রতীক ও ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী খোকন মিয়ার হাতে হাতপাখা প্রতীক তুলে দেয়া হয়। ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পদে মোট ৯ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং আসনে ২ জন প্রতীদ্বন্দ্বীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়ারা বেগম পেয়েছেন চশমা প্রতীক ও বর্তমান কাউন্সিলর মাহফুজা পারভীন বিউটি পেয়েছেন আনারস প্রতীক। ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত আসনে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাত্যায়নী রানী ভক্ত পেয়েছেন টেলিফোন প্রতীক, খালেদা আলম পেয়েছেন আনারস প্রতীক, বর্তমান কাউন্সিলর পরিছন বেগম পেয়েছেন চশমা প্রতীক ও রিনা খাতুন পেয়েছেন জবা ফুল প্রতীক। ৭, ৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত আসনে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর রিজিয়া বেগম পেয়েছেন চশমা প্রতীক, সাবেক কাউন্সিলর রেখা খাতুন পেয়েছেন টেলিফোন প্রতীক ও শাহানারা খাতুন পেয়েছেন আনারস প্রতীক।
সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন ৩৮ জন। এর মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর আপিল মাহমুদ পেয়েছেন পাঞ্জাবি প্রতীক, সাবেক কাউন্সিলর আপেল মাহমুদ পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক ও রেজাউল বিশ^াস পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক । ২নং ওয়ার্ডে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর সাইদুর রহমান পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক ও সাবেক কাউন্সিলর শেখ জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ডালিম প্রতীক। ৩ নং ওয়ার্ডে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক, আশাদুল ইসলাম পেয়েছেন ডালিম প্রতীক, ইলিয়াস হোসেন পেয়েছেন ব্রিজ প্রতীক, ইয়াদুল ইসলাম পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক, কামরুজ্জামান খোকা পেয়েছেন গাজর প্রতীক, মো. খোকন পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প, রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ব্ল্যাক বোর্ড প্রতীক ও শাহ জামাল উদ্দীন পেয়েছেন পাঞ্জাবি প্রতীক। ৪নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন ৫ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রশিদ পেয়েছেন পাঞ্জাবি প্রতীক, কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক, কামাল উদ্দীন পেয়েছেন ডালিম প্রতীক, বিল্লাল হোসেন পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক ও বর্তমান কাউন্সিলর সোয়েব আহাম্মদ অঞ্জন পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক। ৫ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর খন্দকার আলী আজম পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক, আনারুল ইসলাম পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক ও জামাল হোসেন খোকন পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক। ৬ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর কাজী নাসির ইকবাল ঠা-ু পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক, বর্তমান কাউন্সিলর আবুল কাশেম পেয়েছেন ডালিম প্রতীক, আল্ মামুন রনি পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক, মুরাদ হোসেন পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক ও সাজু আহাম্মদ পেয়েছেন পাঞ্জাবি প্রতীক। ৭নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৫ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক, বর্তমান কাউন্সিলর ওয়াসিম রাজা পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক ও রবিউল ইসলাম রবিন পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক। ৮ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আল মামুন পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক, আশরাফ হোসেন পেয়েছেন ডালিম প্রতীক ও শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক এবং ৯ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব উদ্দীন পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক, আসাদুল হক পেয়েছেন পাঞ্জাবি প্রতীক, চাঁন আলী বিশ^াস পেয়েছেন ব্ল্যাক বোর্ড প্রতীক, জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ডালিম প্রতীক, মতিয়ার রহমান পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক ও শুকুর আলী পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক। জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রতিদ্বন্দ্বী উপরোক্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি জীবননগর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।