জীবননগর করিমপুর প্রাইমারি স্কুলে মাদক সেবন করে শ্রেণিকক্ষে

শিক্ষকের অসংলগ্ন আচারণ : অভিভাবককে মারধরের অভিযোগ

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মোহনের বিরুদ্ধে মাদক সেবন করে শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অসংলগ্ন আচারণকরাসহ অভিভাবককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক মোহন জীবননগর নতুন তেঁতুলিয়ার মৃত নূর মোহাম্মদ চৌধুরী ওরফে হাগু মাস্টারের ছেলে।
এলাকার সূত্রে জানা যায়, করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমান মোহন মাদকে আসক্ত। তিনি প্রায় গাঁজা সেবন করে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। যার ফলে সে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অত্যাধিক মারধরসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল দুপুরে স্কুলের প্রধান গেট বন্ধ করা নিয়ে একই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অভিকে মারধর করেন ওই শিক্ষক। পরবর্তীতে অভি নিজেকে বাঁচাতে স্কুল থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর তার পিতা শাহিন আলমকে বিষয়টি খুলে বললে তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনাটি জানতে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষক পুনরায় হামলা চালায় এবং ছাত্রের পিতার মাথায় আঘাত করেন। এছাড়াও শাহিন আলমের বড় ভাই এনামুল বাধা দিতে এলে তার ওপরও তিনি হামলা চড়াও হয়ে তাকে আহত করেন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই শিক্ষককে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে হাসাদাহ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে অভিভাবক শাহিন আলম বলেন, একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু তিনি যদি মাদক সেবন করে শ্রেণিকক্ষে এসে মাতলামি করে সেই সাথে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলে সেটি কখনোই মেনে নেয়া যায় না। তাছাড়া মাদকাসক্ত একজন শিক্ষকের কাছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী কখনোই নিরাপদ নয়।
করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিন বলেন, শফিকুল ইসলাম মোহন মাদকে আসক্ত। তিনি প্রতিনিয়ত গাঁজা সেবন করে স্কুলে প্রবেশ করে। সেই সাথে স্কুলের শিক্ষকসহ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মারাত্মকভাবে দুর্ব্যবহার করে। এমনকি তিনি আমাকে প্রায় মারধরের হুমকি দেন। আর এ কারণে আমি তার বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় অভিযোগ করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আজকের ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। এছাড়াও ইতোপূর্বে বিভিন্ন অভিযোগে ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তারপরও আজ যেটি হয়েছে সেটি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More