অপরাধীদের সম্পর্কে আমরা একটা ধারণা পেয়েছি
জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার উথলী সোনালী ব্যাংক শাখায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। দিন দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে এসে হেলমেট পরিহিত ৩ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল গ্রাহক সেজে ব্যাংক প্রবেশ করে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯শ’ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। গতকাল রোববার দুপুর একটার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, সার্কেল এএসপি আবু রাসেল, জীবননগর উপজেলা ইউএনও এসএম মুনিম লিংকন ও ওসি সাইফুলসহ, পুলিশ এবং ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা আপনারা স্বচক্ষে দেখছেন। বাংলাদেশে যতোগুলো রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে সোনালী ব্যাংক সব থেকে বড় ব্রাঞ্চ ও ১ নম্বর ব্যাংক। ব্যাংকের গুরুত্ব অপরিসীম। ঘটনার খবর পেয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। পোষাকধারী পুলিশ, সাদা পোষাকধারী, ডিবি পুলিশসহ পুলিশের একাধিক টিম ক্লু উদঘাটনসহ অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে, অলিতে-গলিতে এমনকি যেখান দিয়ে মোটারসাইকেল চলতে পারে এমন সকল স্থানে পুলিশ চেকিং শুরু করেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকে যদি সিসি ক্যামেরা থাকতো এবং ব্যাংকের স্টাফরা যদি একটু সচেতন হতেন তাহলে ব্যাংকেই এদেরকে ধরা সম্ভব হতো। তারা খেলনা পিস্তলকে অরজিনাল পিস্তল ভেবে ভয় পেয়েছে। আসলে এটা ছিলো ভয় দেখানোর জন্য একটি খেলনা পিস্তল। তারপরও বলবো এলাকার সম্ভ্রান্ত অধিবাসীরা তাদেরকে ধাওয়া করে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। আমরা খেলনা পিস্তলের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছি। যা এখন পুলিশের হাতে। এটাই এখন আমাদের হাতের ক্লু। এখানে যারা এসেছিলো তাদের সম্পর্কে আমরা একটা ধারণা পেয়েছি। আশা করি আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আপনাদের ফিডব্যাক দিতে পারবো এবং এই ঘটনা ডিটেক্ট হবে। আপনারা জানেন এটা গ্রাম্য বাজার। দুপুরের মধ্যে বাজার ফাঁকা হয়ে পড়ে এবং মানুষ লাঞ্চে চলে যায়। আর এই সময়টাকেই মাত্র ৩ জন অপরাধী কৌশলগতভাবে কাজে লাগিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, তাদেরকে ধরতে আমরাও আমাদের কৌশল কাজে লাগাবো। পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পরবর্তীতে আপনাদের সবকিছু জানানো হবে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, জীবননগর থানার ৩টি টিম অপরাধীদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারে অভিযানে রয়েছে। এদিকে এ ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ