জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়ার মালয়েশিয়া প্রবাসীকে ফোনে প্রতারণা : হাতিয়ে নিলো দেড় লাখ টাকা

জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরে আন্দুলবাড়ীয়ায় সুজন আলী বিশ্বাসের মালয়েশিয়া প্রবাসী বড় ভাই মহন বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাত প্রতারক চক্র। গত ১৪ মার্চ একাধিক নগদ ও বিকাশ নম্বরে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন তিনি।
জানা গেছে, মহন বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনযাপন করছেন। তার অশিক্ষিত হওয়ার সুযোগে প্রতারক চক্রের এক পুরুষ ও এক নারী নিজেদের মালয়েশিয়া প্রবাসী পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করে। প্রথমে তারা মহন বিশ্বাসকে বলেন, ‘আমরা আপনাকে চিনি এবং আপনি দেখলেও চিনতে পারবেন।’ পরিচয়ের আস্থায় ধীরে ধীরে প্রতারকরা তাদের ফাঁদ তৈরি করে। এরপর প্রতারকরা জানান, তাদের কাছে মালয়েশিয়ার কিছু টাকা আছে, যা বাংলাদেশে ভাঙালে বেশি টাকা পাওয়া যাবে। সেই সূত্র ধরে প্রতারকরা একটি ভুয়া ব্যাংক রিসিট পাঠিয়ে মহন বিশ্বাসকে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। সরল বিশ্বাসে মহন বিশ্বাস কোনো যাচাই-বাছাই না করেই ১৪ মার্চ, ২০২৫ তারিখে নিম্নোক্ত মোবাইল নম্বরগুলোতে টাকা পাঠান, নগদ নম্বর: ০১৩৩৩৭৪২৪১৭ — ৩৮,৭৯০ টাকা,বিকাশ নম্বর: ০১৮৪০০২৬৩৫৮ — ৩৮,৭৮০ টাকা, নগদ নম্বর: ০১৬০৭৪৬২৯১২ — ৩০,০০০ টাকা, নগদ পার্সোনাল নম্বর: ০১৭৭২৭৭৮২৯৪ — ৩০,০০০ টাকা। টাকা পাঠানোর পর ব্যাংক রিসিট যাচাই করতে গেলে মহন বিশ্বাস বুঝতে পারেন যে, রিসিটগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া। প্রতারক চক্রটি পরিকল্পিতভাবে তাকে প্রতারণার জালে ফেলে এই অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং প্রতারকদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে সকল প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। কোনো অজানা বা সন্দেহজনক ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন বলেন, ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি। আসলে বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, প্রতারণার কৌশলও তত বাড়ছে। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে অর্থ লেনদেন করতে হবে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দেখা যাক খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More