স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে দৌলতগঞ্জে প্রস্তাবিত সুইপার কলোনি স্থাপনের প্রতিবাদে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে দৌলতগঞ্জ গ্রামবাসীর আয়োজনে এ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সমাবেশে জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবির বলেন, সুইপার সম্প্রদায় একটি আলাদা সংস্কৃতি। তারা প্রকাশ্যে মদ্যপান, মাতাল অবস্থায় রাস্তায় চলাচলসহ বেশকিছু কাজ করে। এগুলো দৌলতগঞ্জ গ্রামের মূল সংস্কৃতির অন্তরায়। বিশেষ করে তাদের উন্মুক্ত মদ্যপান, যা এই গ্রামের উঠতি বয়সী যুবকদের মাদকের দিকে উৎসাহিত করতে পারে। সেই সাথে নষ্ট হয়ে যেতে পারে সম্পূর্ণ যুবসমাজ। এজন্য আমরা চায় তাদের এমন জায়গায় বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়া হোক যাতে মানুষের কোনো সমস্যা না হয়। অথবা এখন তারা যেখানে বসবাস করছে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে দেয়া হোক। ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমরান হোসেন পলাশ জানান, হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমরা চাই তাদের বসবাসের একটি উপযুক্ত পরিবেশ হোক। তবে দৌলতগঞ্জের মতো জায়গায় সেটি কোনভাবেই সম্ভব না। কারণ সেখানে সচিবসহ অর্ধশত শিক্ষকের বসবাস। তাদের সংস্কৃতির সাথে আমাদের সংস্কৃতি কোনভাবেই মেলে না। তাদের মদ্যপান, শুকর পালন যা আমাদের মূল সংস্কৃতির সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা চাই তাদেরকে ফাঁকা বা নির্জন জায়গায় পূর্ণবাসন করা হোক। যাতে তারা তাদের মত করে বসবাস করতে পারে। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দৌলতগঞ্জ সেবা সমিতির সভাপতি আব্দুস সবুর, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পল্টু মিয়া, দৌলতগঞ্জ সেবা সমিতি উপদেষ্ট আখতার-উজ-জামান মিঠু, উপদেষ্টা ফজলুর রহমান মাস্টার, সহ-সভাপতি একে আজাদ বিটু, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম, যুবদল নেতা মানিক প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দজাদী মাহাবুবা মঞ্জুর মৌনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.