স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগরের শাহাপুরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবু (২৬)। মেহেদী হাসান খান বাবু বর্তমানে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি। তিনি জীবননগর উপজেলার সুজায়েতপুর গ্রামের আবু মুসা খানের ছেলে। ঘটনার পর তিনি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের পাশে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিতের শিকার মেহেদী হাসান খান বাবু বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মীমাংসার জন্য আমি, আমার পিতা আবু মুসা খান শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পে যায়। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মীমাংসার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের পক্ষ নেয়া গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫-১৬জন আমার ওপর চড়াও হয় এবং আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আমাকে ক্যাম্পের একটি কক্ষে নিয়ে হেফাজত করে। বিষয়টি আমি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি জীবননগর থানায় আজকেই মামলা করবো। মামলার পর আসামিদের শনাক্ত করে আজকের ভেতরে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. মামুন বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সেটি মীমাংসাও হয়ে গেছে। তারা যখন বাড়িতে চলে যাচ্ছিলেন, তখন উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ক্যাম্পের ইনচার্জ বাবু ভাইকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আজিজুল বলেন, মেহেদী হাসান খান বাবু নামে একজন বেলা ৩ টায় ভর্তি হয়েছেন। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক বলেন, তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। বর্তমানে তাকে স্যালাইন দেয়া চলছে। গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি। জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবুর সাথে একটা জমি নিয়ে আপন খালার দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। জমির বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য এক পক্ষ শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পে একটি আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে শাহপুর পুলিশ ক্যাম্প দু’পক্ষকেই ডেকেছিলো। আলোচনার এক পর্যায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে বলা হয়, যেহেতু এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ কারণে আপনারা আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টি সমাধান করে নেন। তারা চলে যাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এক পক্ষ সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.