স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলার কুলতলা গ্রামে গর্ভের সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে মাকে তালাক দেয়ায় স্বামীসহ তার পরিবারকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ডিপিও এবং প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। পাষন্ড স্বামী ফিরোজ উদ্দিন বাবুসহ তার পরিবারকে আটক করে বিচারের ব্যবস্থা করবো বলে আশ্বস্ত করেন প্রতিবন্ধীদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন খাদিমপুর প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি জেরিন খাতুন, গাংনী প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি সোনালী খাতুন, কোষাধ্যক্ষ লাইলী খাতুন, শঙ্করচন্দ্র যুব প্রতিবন্ধী মহিলা সংস্থার সভাপতি তাসলিমা খাতুন, সহ-সভাপতি নুরজাহান খাতুন, সাধারণ সম্পাদক লালভানু খাতুন, সদস্য শামীমা খাতুন, পদ্মাবিলা প্রতিবন্ধী সংগঠনের সহ-সভাপতি জান্নাতুল খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সাথী খাতুন, কোষাধ্যক্ষ নয়ন আলী, চিৎলা যুব প্রতিবন্ধী মহিলা সংস্থার সভাপতি তানিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক কল্পনা খাতুন, মোমিনপুর প্রতিবন্ধী যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি শিলা খাতুন, সদস্য জোসনা খাতুন, খাদিজা খাতুন, ফারজানা খাতুন, অলিফ খাতুন, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ইউনুস আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের হারদা চাঁদপুর গ্রামের সামসুল আলমের মেয়ে শান্তনা খাতুনের সাথে ৪ বছর পূর্বে পার্শ্ববতী কুলতলা গ্রামের মাঝাপাড়ায় আব্দুল হামিদের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন বাবুর বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছর পরে মাহিশা নামে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সে বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় না-কি সব দোষ মায়ের, তাই শান্তনা খাতুনের নিকট ৬ লাখ টাকা দাবি করে পাষন্ড স্বামী ফিরোজ উদ্দিন বাবু ও তার পিতা-মাতা। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ীর চাহিদার টাকা দিতে না পারায় সব ধরণের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে স্বামীর ঘরেই থাকতে চেয়েছিলেন শান্তনা খাতুন। পাষন্ড স্বামী প্রতিবন্ধী শিশুটির মা শান্তনা খাতুনকে তালাক দিয়ে বের করে দিয়েছে বাড়ী থেকে। বর্তমানে মা শান্তনা খাতুন প্রতিবন্ধী কন্যাকে নিয়ে পিত্রালয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে।