জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় এবার ৪ হাজার ৬৮৯ টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এ উপজেলায় বাৎসরিক মাছের চাহিদা ৪ হাজার ২৬০.৫৫৯ টন। উৎপাদিত মাছ এ উপজেলার প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ৪২৮.৪৪১ টন মাছ পাশর্^বর্তী জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে বলে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে এ তথ্য মৎস্য অধিদফতর হতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৮১ জন জনসংখ্যার জন্য প্রতিবছর মাছের চাহিদা ৪২ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৯ কেজি বা ৪ হাজার ২৬০.৫৫৯ মেট্রিক টন। গত বছর এ উপজেলার ১ হাজার ৮২৭টি পুকুর, দিঘী, বাণিজ্যিক খামার, বাওড়, খাল, বিল, নদ-নদীর ১ হাজার ৪৭০.৫১ হেক্টর জলাশয়ে মাছ চাষ করা হয়। এ মাছ চাষের সাথে ৯৯৮ জন নিবন্ধনকৃত মৎস্যজীবী ও ৯৪৬ জন মৎসচাষি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৫০ জন চাষি এ মাছ উৎপাদনের সাথে জড়িত। এর বাইরেই ১২টি মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যরা মাছ চাষ করে থাকে। এ বছর জীবননগর উপজেলায় ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার কেজি বা ৪ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদিত মাছ এ উপজেলার চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত হয়েছে ৪২৮.৪৪১ মেট্রিক টন। মাছ পাশর্^বর্তী জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবছর তরুণ ও যুব সমাজ যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষে এগিয়ে আসছে। এর ফলে আমরা অচিরেই মৎস্য চাষে পৃথিবীতে এক নম্বর স্থান দখল করতে সক্ষম হবো বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ সফল করতে এ উপজেলাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।