জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা বিকাশ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত তিন সদস্যের মধ্যে দুই জন রাজশাহী জেলার এবং অপরজন জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের বাসিন্দা। তারা সকলেই প্রতারণা মামলার আসামি। গ্রেফতারকৃত তিন প্রতারককে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জীবননগর উপজেলার উথলী এরিয়া অফিসের নাইটগার্ড ফকির মোহাম্মদের (৭২) ছেলে শরিকুল ইসলাম দুবাই প্রবাসী। তারা বাপ-বেটা মোবাইলফোনের ইমু নম্বরে কথা বলতেন। এ অবস্থায় তাদের ইমু আইডি অজ্ঞাত হ্যাকাররা কৌশলে হ্যাক করে ছেলে সেজে হ্যাকাররা ফকির মোহাম্মদের সাথে কথা বলতো। এক পর্যায়ে শরিফুল সাজা হ্যাকাররা ফকির মোহাম্মদকে জানায় দুবাইয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছে তার টাকা লাগবে। এভাবে প্রতারক চক্রের সদস্যরা ২৫ অক্টোবর বিকেল ৩টা থেকে ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৮টি বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ফকির মোহাম্মদ প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি টের পান।
এ ব্যাপারে উপজেলার উথলী গ্রামের মৃত আলীহিম ম-লের ছেলে ভুক্তভোগী ফকির মোহাম্মদ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। জীবননগর থানা পুলিশ ওই ডায়রির সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে সাব-ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে উথলী এলাকা থেকে প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে-রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার মথুরাডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নাহিদ হোসেন (২৬), রাণীনগর সাধুর মোড়ের মৃত সৈয়দ ইয়াসিন আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৬০) ও জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হারুন অর-রশিদ (২৩)। ভুক্তভোগী ফকির মোহাম্মদ বলেন, আমার ছেলে শরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দুবাই প্রবাসী।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, গ্রেফতারকৃত ৩ প্রতারক আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা ভুক্তভোগী ফকির মোহাম্মদকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদেরকে থানার চৌকস সাব-ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেন বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনাক্তকরণের পর বুধবার রাতে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার করে।