জীবননগরের মনোহরপুরে ঈদগাহের জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় আদালতে মামলা : দুজনকে আটকের প্রতিবাদে গ্রামবাসীর থানা ঘেরাও

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে ঈদগাহের জমি নিয়ে মারামারি ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে দুজনকে আটকের প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে মনোহরপুর গ্রামবাসী।
জানা যায়, মনোহরপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়ার ঈদগাহের ৩-৪ কাঠা জমি নজরুল মল্লিকের ছেলে শাহাজান শাহ তার সঙ্গীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে আসছিল। তাদের দখল থেকে জমি উদ্ধারের জন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মনোহরপুর ইউনিয়নের আমিন দিয়ে জমি মাপা হয়৷ কিন্তু তারা তা না মেনে পুনরায় জমি মাপার জন্য বলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পরও তারা এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ না দেখানোয় পুনরায় জমি মাপা হয়। জমির মাপার পর গত ২৮ মার্চ বিরোধ সৃষ্টি হলে মনোহরপুর গ্রামের স্বপন মাস্টার ও যুবদল নেতা সাইফুল সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসা করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরবর্তীতে উল্টো তাদের নামেই শাহাজাহান বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বপন মাস্টার ও নাসির নামের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী শনিবার সন্ধ্যায় জীবননগর থানা ঘেরাও করে আটকের কারণ জানতে চান।
এ বিষয়ে মনোহরপুর গ্রামের লিমন হোসেন বলেন, মনোহরপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের পুত্র শাহজাহান ও তার ভাইরা জোরপূর্ব ঈদগাহ জমির দখল করে আসছিল। ইতোপূর্বে কয়েকবার জমি মাপ হলেও তারা মেনে নেয়নি এবং উপস্থিত হয়নি। তারপরও শাহাজান ও তার সঙ্গীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে মনোহরপুর গ্রামের আশরাফুল আলম স্বপন মাস্টার ও তার ভাই সাইফুলকে মারধর করে। এমনকি তারা মারধরের পর উল্টো শাহজাহান বাদী হয়ে সাইফুল, স্বপন মাস্টারসহ সর্বমোট আটজনের নামে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশ স্বপন মাস্টার ও নাসিরকে আটক করে। আর এ কারণে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাদেরকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে জীবননগর থানায় উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা শনিবার স্বপন মাস্টার ও নাসির উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করি। এছাড়াও অভিযোগের ভিত্তিতে মনোহরপুর গ্রামের মাওলা বক্সের পুত্র রকিবুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম ডাকুকে গ্রেপ্তার করি। এছাড়াও বিষয়টি তদন্ত-পূর্ব পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More