জিয়া ভেঙেছে সংসার : হাতিয়ে নিয়েছে ২৩ লাখ টাকা
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে নির্যাতিতা নারীর সংবাদ সম্মেলন : অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: “ভুল করেছি, যার প্রলোভনে ভুলপথে হেটেছি, জমি বিক্রি করিয়ে যে ২৩ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে তার কিছুই হবে না। আমি তো বিচার চেয়েছি। বিচার চাওয়ার কারণে আমাকে পদে পদে হামলার শিকার হতে হচ্ছে। প্রাণনাশের হুমকি ধামকিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।” কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন চুয়াডাঙ্গা ডিঙ্গেদহ বোয়ালিয়ার মোছা. লাভলী খাতুন।
গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ন্যায় বিচার পাওয়াসহ জীবনের নিরাপত্তার লক্ষ্যে সাংবাদিকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রার্থনা করে লাভলী খাতুন বলেন, মেহেরপুর বলিয়ারপুরের মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনে চাকরি করেন। তিনি নিজেকে এজিএম বলে পরিচয় দিয়ে আমার সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওর স্ত্রী মারা গেছে বলে জানিয়ে আমাকে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে রাখবে বলে ফুসলাতে থাকে। ওর প্ররোচনায় স্বামীর ঘর ছাড়ি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পেছনে ভাড়া বাড়িতে, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হোটেলে নিয়ে দেহভোগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিয়েও করে। বাস কেনার কথা বলে আমার কাছে ৩০ লাখ টাকা চায়। বলে তোমার (আমার) নামে বাস কিনে রয়েল এক্সপ্রেসে চালাবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে টাকা উঠে আসবে। এ কথা বিশ্বাস করে জমি, সোনার গহণা, মূল্যবান বেশ কিছু মালামাল বিক্রি করে ২৩ লাখ টাকা জিয়াউর রহমানের হাতে তুলে দিই। এরপরই রুপ পাল্টাতে থাকে জিয়া। বিষয়টি রয়েল এক্সপ্রেসের মালিকদের নিকট জানাতে গেলে তারাও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাড়িয়ে দেয়। অপরদিকে জিয়া বলে চুয়াডাঙ্গায় সব তার কেনা, কিছুই হবে না। বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা করি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে ওষুধ কেনার জন্য চুয়াডাঙ্গা কোর্ট মোড়ে গেলে আমাকে জিয়াসহ তার লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা মেরে হত্যার চেষ্টা করে। চিৎকার চেচামেচি করি। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। পুলিশের সহায়তায় হামলাকারিদের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। এ বিষয়েও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জিডি করা হয়েছে। এরপরও নানাভাবে জিয়াউর রহমানসহ তার লোকজন আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। অবাক হলেও সত্য, আদালতে মামলা করার কারণে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন স্থানে লোকবল নিযুক্ত করেছে। কোর্ট এলাকার একটি ফটোকপির দোকানেও আমাকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। জিয়াউর রহমানসহ তার লোকজন বলে বেড়াচ্ছে পুলিশও নাকি ওদের কথা শুনবে। চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। একটা ভুল করেছি। এটা স্বীকার করতে যেমন আমার দ্বিধা নেই, তেমনই আমাকে যে মিথ্যা প্রলোভনে পথে বসিয়েছে তার বিচার চাই। আমার সাথে এতোবড় প্রতারণা করলো অথচ বিচার হবে না? আমি সকলের সহযোগিতা চাই।