আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আলমডাঙ্গায় শহরে হাসপাতালের স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শহর থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার দূরে হারদীতে অবস্থিত। রাতে শহরের মানুষ মারাত্মক অসুস্থ হলে বিপদের সীমা থাকে না। এরই প্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা শহরে একটি হাসপাতালের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। আলমডাঙ্গা শহরে ২০ শয্যার একটা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আন্তরিকভাবে কাজ শুরু করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ উপলক্ষে তিনি আলমডাঙ্গার সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি বহুদিন থেকেই আলমডাঙ্গা শহর সংলগ্ন একটি হাসপাতালের জন্য চেষ্টা করে আসছি। মোহাম্মদ নাসিম যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছে। ২০ বেডের একটা হাসপাতাল আপনারা পাবেন। এ জন্য জমি লাগবে। সরকার বিল্ডিং দেবে, ডাক্তার, নার্স ওষুধ সবই দেবে। আপনাদের জমির ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ যাদের সামর্থ দিয়েছেন তারা একটু উদ্যোগী হলেই জমি সম্ভব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটা কেনো হারদী চলে গেছে জানেন, জমি না দেয়ার কারণে। আজকের এই হাসপাতালটা যাতে আলমডাঙ্গায় হয়, সেজন্য আপনাদের সাথে মতবিনিময় সভা আহ্বান করেছি। আপনারা যদি হাসপাতালটা চান, তাহলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এটা সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান। যে যতোটুকু সহযোগিতা করতে পারেন করবেন। এই টাকা কিন্তু তোলা থাকবে। এর হিসেব এক সময় পাবেন। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, বিশেষ করে গরীব মানুষের স্বার্থে এই হাসপাতালটা একান্ত জরুরী। আমিও আপনাদের সাথে শরিক হবো।
সভায় আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলনের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ সাঈদ, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়্যারম্যান হেলাল উদ্দিন, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, হার্ডওয়ার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও হার্ডওয়ার মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, কাপড় ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ গোলাম রহমান সিঞ্জুল, সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবু মুছা, মিল চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক। উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ.লীগের ধর্ম সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলহাজ ঠান্ডু মিয়া, ফাটিলাইজার সমিতির উপজেলা সভাপতি আলহাজ রফিক মিয়া, বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ শমসের মল্লিক, আলহাজ আব্দুল বারী, মজিবর রহমান, মোহাম্মদ আলী, বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও মুদি সমিতির সম্পাদক আলাউদ্দিন, ইটভাটা মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবেদুজ্জামান, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ ইমারত আলী, বণিক সমিতির ধর্ম সম্পাদক আলহাজ মোতালেব হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, আবু সাঈদ পিন্টু, মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী রবিউল হক, আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী খালেদুর রহমান, আলম হোসেন, সহ-সভাপতি আনিসুজ্জামান মল্লিক, হামিদুল ইসলাম, খন্দকার শাহ আলম মন্টু, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, জেলা আ.লীগের নির্বাহী সদস্য শাহ আলম, সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, পৌর আ.লীগের সহসভাপতি ও ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লাসহ আলমডাঙ্গার সকল ব্যবসায়ীক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।