ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম ম-লের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন চত্বরে স্থাপিত ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকের পাশে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিদের খোদায়কৃত ছবি প্রতিহিংসামূলক ভাঙচুর করার অভিযোগ করেছে পদ্মবিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ^াস ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের বরাত দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ^াস বলেন, তিনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। এর পাশে তৎকালীন ইউপি জনপ্রতিনিধিদের খোদায় করা ছবির নামের তালিকা স্থাপন করা হয়। কিন্তু বর্তমান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলম ম-ল হিংসার বশবর্তী হয়ে পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি চন্ডীপুর গ্রামে মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি বুড়োপাড়া গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে ইকরামুল হোসেন জান্টুকে সাথে নিয়ে গ্রাম পুলিশ চৈতন্যকে দিয়ে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিদের খোদাইকৃত ছবি হাতুড়ি দিয়ে বাড়িয়ে ভেঙে ফেলে। গ্রাম পুলিশ চৈতন্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সারের নির্দেশে ভেঙেছি।
এ ব্যাপারে পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয় এবং এর পাশে এমনভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছবিসহ নাম খোদাই রাখা হয় যা দেখে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা মøান হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষিপ্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে গতকাল ভেঙে ফেলা হয়। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকের পাশে অন্যদের নাম ও ছবি হাইলাইট করে রাখা অনৈতিক।