জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া এদেশে উন্নয়ন সম্ভব ছিলো না
চুয়াডাঙ্গায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পান্না সিনেমা হল চত্বরে দলীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এ সময় অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম দোলন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান চাঁদ প্রমুখ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, বঙ্গমাতাকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমার মা বই বিতরণ ও সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ, মসজিদের মুসুল্লি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাতা বিতরণসহ মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। কর্মসূচিগুলো উদ্বোধনকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আগস্ট মাস, শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনে নেমেছিল কালরাত। সেদিন জাতি হারিয়েছে জাতির জনক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে তাঁকে হত্যা করা হয়। নির্মম এই হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি নারী-শিশুও। এমনকি বঙ্গবন্ধুর আত্মীয়-স্বজনদেরও হত্যা করা হয় খুঁজে খুঁজে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে তো বটেই, গোটা বিশ্বে এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। তাই শোকাবহ আগস্ট মাসের শুরু থেকেই নানা কর্মসূচি পালন করছি। আমি শুধু ১৫ আগস্ট নই, পুরো আগস্ট মাসজুড়েই জাতির পিতাসহ তার পরিবারের শহীদ সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় এই নানা কর্মসূচি পালন করবো। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতিকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম একদিনের নয়। ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। দিলীপ কুমার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতসহ যেই ষড়যন্ত্র করবে তাকে আমরা ছাড় দেবো না, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড় দেবে না। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, আমি গত ১০ বছর যাবত চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করছি। আর আমি যদি এমপি হতে পারি তবে, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গাকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলবো। তাই আপনারা সবাই নৌকায় ভোট দেবেন। আমি নৌকার মাঝি হলেও দেবেন, না হলেও দেবেন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া এদেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। কর্মসূচির উদ্বোধন শেষেই প্রথমে রক্তদান করেন জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা বজলুর রহমান, শিক্ষার্থী সাবিনা খাতুন। এছাড়া দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে অনেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। পরবর্তীতে এই রক্তগুলো মুমূর্ষ রোগীদের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, জেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি আকতারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুল রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েচ কুরুনি টিটুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর কবির শিপলু।