ছিনতাই করা মোবাইলের বিনিময়ে নিয়েছিলেন গাঁজা : চুয়াডাঙ্গায় ছিনতাইকারী আশিক ও মাদকব্যবসায়ী মিনার গাঁজাসহ আটক
স্টাফ রিপোর্টার: ছিনতাই করা মোবাইলের বিনিময়ে নিয়েছিলেন গাঁজা। টাকা দিয়ে কিনেছিলেন নতুন পোশাক। গুলশানপাড়ায় স্কুল শিক্ষিকার কাছ থেকে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক ছিনতাইকারী আশিক এ তথ্য দেন। পরে তার স্বীকারোক্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় গাঁজা বিক্রেতা গাড়াবাড়িয়া ছাগলাপাড়ার মিনারুলকে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন। ঘর তল্লাশি করে পাওয়া যায় আড়াইশ গ্রাম গাঁজা।
আটককৃত ছিনতাইকারী আশিকুর রহমান আশিক (৩০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি বকচড় পাড়ার বিপ্লব হোসেনের ছেলে ও গাঁজা বিক্রেতা মিনারুল ইসলাম ওরফে ল্যাংড়া মিনার (৩৮) সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ছাগলাপাড়ার গোলাম রাব্বানীর ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত পরশু সোমবার রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মাসুম বেল্লা, এসআই হাসানুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ পৌর এলাকার বেলগাছি বকচড় পাড়ায় অভিযান চালান। এ সময় আটক করা হয় ছিনতাইকারী আশিকুর রহমান আশিককে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালানো হয় সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া ছাগলাপাড়ায়। আটক করা হয় গাঁজা বিক্রেতা মিনারুল ইসলাম ওরফে ল্যাংড়া মিনারকে। মিনারুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাইকৃত একটি মোবাইল। তার বসতঘর তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় আড়াইশ গ্রাম গাঁজা। আটককৃত আশিক জানায় ১০০ গ্রাম গাঁজার বিনিময়ে মোবাইলটি মিনারুলকে দিয়েছিল সে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আশিক চুয়াডাঙ্গার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তিনি শুধুমাত্র রোগীদের টার্গেট করতেন। কারণ, রোগীরা দুর্বল থাকে আবার অসুস্থতার কারণে তাড়াও করতে পারে না। এজন্য হাসপাতালের আশেপাশেই তিনি ঘোরাঘরি করেন। একবার ছিনতাই করেই ঢাকায় চলে যান। এরপর এক-দুই মাস পর আবারও আসেন। সর্বশেষ গত ২৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে এক শিক্ষিকার দুইটি মোবাইলসহ ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যান আশিক। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। গত পরশু সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ছিনতাইকৃত একটি মোবাইল গাঁজা ব্যবসায়ী মিনারুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ১০০ গ্রাম গাঁজার বিনিময়ে মোবাইলটি মিনারুলকে দিয়েছিলেন আশিক। ছাগলপাড়া মিনারুলের বাড়ী থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। মিনারুলের বিরুদ্ধে ৩টি এবং আশিকের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে।