চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পথ্য লিলেন ধোলাই ও স্টেশনারি সরবরাহ দরপত্র দাখিলের এক মাস পার হলেও সিদ্ধান্ত হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে পথ্য সরবরাহ, লিলেন ধোলাই এবং স্টেশনারি ও বিবিধ দ্রব্যাদি সরবরাহ দরপত্রের সময়সীমা দাখিলের একমাস সময়সীমা পার হলেও দরপত্র খোলা এবং সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দরপত্র দাতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করার দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা। গত ১১ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ^াস এ দরপত্র আহ্বান করেন। অথচ, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর শেষ হতে আর পাঁচ মাস বাকি রয়েছে। দরপত্রের মধ্যে রয়েছে, সিদ্ধ চাল, পোলাও চাল, মশুরি ডাল, মুগ ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, সবজি, রুই , কাতলা, গ্লাস কার্প, সিলভার কার্প, মৃগেল, পাঙ্গাস, সোনালী মুরগী, খাশির গোশত, লবন, জিরা, পাউরুটি, পাকাকলা ও ডিমসহ ৪৪টি পণ্যে সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পথ্য সরবরাহে নিযুক্ত ঠিকাদার মো. আমিনুল ইসলাম এবং লিলেন ধোল্ইা ও স্টেশনারি দ্রব্যাদি আলাদা ঠিকাদারের মাধ্যমে সরবরাহ চলমান রয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনে নিযুক্ত ঠিকাদারদের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে কোন চুক্তিও হয়নি বলে জানা গেছে। অথচ প্রায় ৭ মাস যাবত পথ্য সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দরপত্র জমা দেয়ার শেষদিন ছিলো এবং দরপত্র খোলার দিনধার্য্য ছিলো গত ৬ জানুয়ারি। বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ২০টি দরপত্র জমা পড়ে। অথচ, দীর্ঘ একমাস পেরিয়ে গেলেও দরপত্র খোলা হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানা গেছে। এর ফলে আর্থিকভাবে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এ ব্যাপারের জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যৎ কুমার বিশ^াসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More