স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনে থেকে কৌশলে ৬ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে চোরচক্রের দুই সদস্যসহ সন্দেহভাজন সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ২ লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের দুই সদস্য হলেন সিরাজগঞ্জ সদর থানার ছোট আড়িয়া মহন গ্রামের মৃত আসম ম-লের ছেলে আব্দুস সালাম বাঙ্গাল (৬৫), যশোর থানার তপশ্বীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মোশারফ হোসেন বাবু (৬৩)। সন্ধিগ্ধ ৫ জন হলেন কোতয়ালী থানার ম-লগাতি গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে নায়েব আলী (৫৫), অভয়নগর থানার চেংগুটিয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোস্তফা মোল্লা (৬০), ময়মনসিংহ গফরগাঁও থানার দেউলপাড়ার মৃত মোহর আলীর ছেলে সিরাজ মিয়া (৫৫), মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর থানার মৃত সামসুল হকের ছেলে মোশারফ হোসেন (৫০) এবং ঠাকুরগাঁও সদর থানার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে সেলিম হোসেন।
গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস জানান, গত ২৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অদূরে ইসলামী ব্যাংকের নিচ থেকে দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের পাট ব্যবসায়ীর ৬ লাখ টাকা কৌশলে চুরি করে পালিয়ে যায় চোরচক্র। পরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সদর থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীরের নেতৃত্বে এসআই হাসানুজ্জামানসহ সদর থানা পুলিশের চৌকস দল চোরচক্রের সদস্যদের ধরতে মাঠে নামে। ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরের সিসি টিভি ফুটেজসহ পুলিশের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জের আব্দুস সালাম বাঙ্গাল ও যশোরের মোশারফ হোসেন বাবুকে পাবনা জেলার একটি আমবাগান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষ তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দিগ্ধ আরও ৫জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অবশিষ্ট চোরাইকৃত ৪ লাখ টাকা উদ্ধারে জোরালো অভিযান অব্যাহত আছ বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের পাট ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান ইসলামী ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা তোলেন। পরে ইসলামী ব্যাংকের নিচে রাখা তার মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে টাকার ব্যাগটি রাখেন। এসময় পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা চোরচক্রের সদস্যরা তার মোটরসাইকেলের পাশে তিনটি একশ টাকার নোট ছিটিয়ে দিয়ে তার মনোযোগ ঘুরিয়ে দিয়ে বলেন, ভাই আপনার টাকা পড়ে গেছে। সাইদুর রহমান ছিটানো টাকা তুলতে গেলে চোরেরা কৌশলে তার টাকার ব্যাগ নিয়ে সটকে পড়ে । এ ঘটনার পর সাইদুর রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি জিডি করেন।