স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার জাহিদুল ইসলাম নান্টুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে গোরস্তানপাড়ার সরকারি গণগ্রন্থাগারের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম নান্টুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নান্টুর বড়ভাই সিরাজুল ইসলাম আসমান বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতকালই এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন চুয়অডাঙ্গা গোরস্তানপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে ইয়াকুব আলী (৫৫) ও তার জামাতা মসজিদপাড়ার মৃত দুলালের ছেলে হারুন (৪০)।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা গোরস্তানপাড়ার ইয়াকুব আলীর স্ত্রী রাহেলা খাতুন একই এলাকার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাউছারের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। গতকাল কাউছারের বাড়ি থেকে স্বর্ণের আঙটি ও নগদ বেশকিছু টাকা হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহপরিচারিকা রাহেলা খাতুনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কাউছারের ছোটভাই নান্টুর ওপর রাগান্বিত হন। তারই জের ধরে গোরস্তানপাড়ার ইয়াকুব আলীর ছেলে মিলন, মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে ইয়াকুব আলী, ইয়াকুব আলীর জামাতা মসজিদপাড়ার মৃত দুলালের ছেলে হারুন, হারুনের স্ত্রী রিনা খাতুন, রাহেলা খাতুন ও নিশি খাতুন গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাউছারের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় নান্টুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এসময় নান্টুকে উদ্ধার করতে গেলে কাউছার ও তার স্ত্রী আফরোজা পারভিনকেও মারধর করা হয়। পরে নান্টুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। তার শরীরের বুকে ও হাতের বিভিন্ন স্থানে জখম হওয়ায় বেশকয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এদিকে, এ মারামারির ঘটনায় মসজিদপাড়ার হারুনও জখম হন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, নান্টুকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরে করোনা সচেতনতা ও কর্মীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ