চুয়াডাঙ্গা বোয়ালিয়ার চাঞ্চল্যকর স্বপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আসাদ গ্রেফতার
বেগমপুর প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা বোয়ালিয়ার চাঞ্চল্যকর স্বপন হত্যা মামলার ১নং এহাজার নামি আসামী আসাদুল ইসলাম আসাদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। কুষ্টিয়া র্যাব-১২ ঢাকার ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসাদকে কুমারখালী থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব।
কুষ্টিয়া র্যাবের-১২ অধিনায়ক মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব-১ সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালায় ঢাকার ভাটারা এলাকায়। অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর স্বপন হত্যা মামলার ১নং এহাজার নামীয় আসামি কুষ্টিয়া কুমারখালী থানার বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমান ওরফে চয়নের ছেলে আসাদুল ইসলাম ওরফে আসাদকে (২৭) গ্রেফতার করেন। ঘটনার ৭২ ঘন্টার মাথায় মামলার ১নং আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। গ্রেফতারকৃত আসামি আসাদুলকে কুমারখালী থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেরার নেহালপুর ইউনিয়নের এনামুল ওরফে এনার মেয়ে সুমি খাতুন পরকিয়ার সম্পর্কের জের ধরে মোবাইলফোনে বেতবাড়িয়ার শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেয় বোয়ালিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে বালু ব্যবসায়ী স্বপনকে। সেখানে তাকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনেকটাই প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে এবং তা মোবাইলে ধারণ করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি করে। আর এভিডিওর দৃশ্য অবলোকন করেন সুমির পিতা এনামুল, মা ফাতেমা, ভাই সাগর এবং চাচা সেকেন্দার। এ ঘটনায় কুমারখালী থানা অভিযান চালিয়ে বেতবাড়ীয়া গ্রাম থেকে গত বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। ওইদিনই এ ঘটনায় স্বপনের মা ছায়েরা খাতুন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বোয়ালিয়া গ্রামের হত্যার হুকুমদাতারা আশপাশ এলাকায় অবস্থান করলেও কুমারখালী থানা পুলিশকে জানালেও তাতে কোন কর্ণপাত করছে না বলে স্বপনের পরিবারের পক্ষ থেকে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.