চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজে অচলাবস্থা দূরীকরণের আহ্বান নাগরিক পরিষদের

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অচলাবস্থা দূরীকরণে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা নাগরিক পরিষদের বিশিষ্টজনেরা। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব অধ্যাপক শেখ সেলিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১৯৮৩ সালে তৎকালীন সর্বশেষ মহকুমা প্রশাসক মোহাম্মদ ফিরোজের উদ্যোগে ও জেলার শিক্ষানুরাগী এবং সমাজসেবীদের সার্বিক সহযোগিতায় পৌরসভার জমিতে চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের আর্থিক সহযোগিতায় ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি গড়তে। পরবর্তী পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী ও তৎকালীন নিবেদিত শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দের বিশেষ আন্তরিকতা পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৮ সালে স্নাতক ও ২০১৫ সালে অনার্স কলেজে উত্তীর্ণ হয়। ৪৮ বছরের চড়ায় উতরায় পেরিয়ে দিনে দিনে গড়ে ওঠা এই বিশাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রায় দিন পনেরো অচল হয়ে আছে। প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পরীক্ষা ছাড়া সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিয়োগ বঞ্চিত বি.এম শাখার সহকারী অধ্যাপক মোসা. নাজনীন আরা খাতুন দাবি, ‘তিনি বর্তমান নিয়োগকৃত জেষ্ঠ্য প্রভাষক শামীমা খাতুনের সিনিয়র। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে অভিভাবকবৃন্দের নিকট বিতর্কিত শিক্ষককে এ পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে।’ অভিযোগ যাই হোক প্রায় ৭/৮ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারনার এই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দু’জন শিক্ষকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে উচ্চ মাধ্যমিক, বি.এম, স্নাতক ও অনার্স শ্রেণীর শিক্ষাক্রম ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের অন্ধকারের দিকে ধাবিত করার এই হীন কার্যক্রমের জন্য চুয়াডাঙ্গা নাগরিক পরিষদ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেই সাথে চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডি ও স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি বিদ্যমান অচল অবস্থা পরিত্রাণের। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার, অ্যাড. বজলুর রহমান, অ্যাড. কাইজার হোসেন শিল্পী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. মানিক আকবার, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সাহিত্যিক ইকবাল আতাহার তাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সরদার আলী হোসেন, সমাজকর্মী কমরেড লিটু বিশ্বাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন চান্নু, শফিকুর রহমান, শহর আলী, নাজীম উদ্দিন, আবুল কাশেম, শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, মিলন বিশ্বাস, রাজনীতিক লাভলুর রহমান ও তরুণ সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More