চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া নিয়ে অচলাবস্থা : কক্ষে ঝুলছে তালা
স্টাফ রিপোর্টার: সমাধান হয়নি চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতার। গতকাল ষষ্ঠ দিনে চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ চত্বরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে গভর্নিং বডির নীতিমালা বিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সৃষ্ট জটিলতার দ্রুত সমাধান না হলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, প্রশাসনিক ভবন, অধ্যক্ষের কক্ষ ও ক্লাসরুম তালা বদ্ধ থাকায় দূর- দূরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করতে না পেরে অবস্থান করছে কলেজ চত্বরের খোলা মাঠে। এমনকি এ সমস্যার কারণে ওয়াশরুম পর্যন্তও ব্যবহার করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
এ অচল অবস্থা নিরসনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেমন তাগিদ দিচ্ছে, তেমনি পদ বঞ্চিত শিক্ষকপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পষ্ট নীতিমালার আলোকে সমাধানের দিকেই তাকিয়ে আছেন। নীতিমালার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজ চত্বরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীরা মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
কলেজের বেশ কিছু শিক্ষক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৩ সালের অধিভুক্তি ও বিষয় অনুমোদনের চিঠির কথা উল্লেখ করে বলেন, ১১-০৮-১৯৯৩ ইং তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিদর্শক এন তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত (০৭/র(১৫৬)/জাতী: বি:/অধি:/৯৩-(২৫৩)) স্বারকে ( বিএপাস) বিভাগে চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধিভুক্ত নবায়নকৃত বিষয় ছিলো বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, ইসলামের ইতিহাস, ইতিহাস। বিএসএস পাস বিভাগে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং বি.কম পাস বিভাগে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের অধিভুক্তি-নবায়ন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিলো না। একইভাবে ৩০-১০-২০২৩ ইং তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওঘঝঙ ২-৪/০০১৮৭/২০১৭/০৮০৩/৬০৯৭২ স্মারকেও (২০২৩-২০২৪ হতে ২০২৫-২০২৬ মেয়াদে) বিএ পাস বিভাগে চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধিভুক্ত নবায়নকৃত বিষয় ছিলো বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। বিএসএস পাস বিভাগে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং বি.কম পাস বিভাগে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও অর্থনীতি। এখানেও কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ের অধিভূক্তি ছিলো না। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শামীমা সুলতানা মাউশি কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ীও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হতে পারেন না।
উল্লেখ্য, ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের ক্ষেত্রেও নীতিমালা অনুযায়ী শামীমা সুলতানা এগিয়ে নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজ অধিভুক্ত ও নবায়নকৃত। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পরিষদ/ গভর্নিং বডি /ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নীতিমালা সহ যাবতীয় বিষয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে।
এমনকি সর্বশেষ ২৩/১০/২০২৪ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটি গঠন প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অধ্যক্ষ বরাবর যে চিঠি প্রদান করা হয়েছে সেই চিঠি অনুযায়ী-ই এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে। তাহলে এটি স্পষ্ট যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা/বিধি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত (অধ্যক্ষ) নিয়োগ হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) নাজনীন আরা খাতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার দৌড়ে সবার আগে এগিয়ে। পদবঞ্চিত সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) মোসা: নাজনীন আরা খাতুন বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জানতে পারি গভনিং বডির সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার জানার পর আমরা কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা সন্ধ্যার পর অধ্যক্ষের কক্ষসহ প্রশাসনিক ভবনের ক্লপসিবল গেট তালা বন্ধ করে দিই। পরদিন সকালে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী মানববন্ধন করে। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। প্রিন্সিপাল আবু রাশেদ অবসরে যাওয়ার পর সরকারি বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আমাকে নিয়োগ দেয়ার কথা। কিন্তু তা না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদার্থ বিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শামীমা সুলতানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিএম শাখার দোহাই দিয়ে আমাদের একপেশে করে রাখা হয়। যে কোনো অনুষ্ঠানে আমাদেরকে জানানো হয় না। আমার প্রশ্ন একই প্রতিষ্ঠানে কেন বিভিন্ন শাখা খোলা হয়েছে, কেনইবা আমাদের এ শাখা খোলা হয়েছে। যেখানে বৈষ্যমের কথা বলা হচ্ছে। আমাদের মাঝেই তো বৈষম্য সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। আমাদের চেয়ার পর্যন্ত সামনে দেয়া হয় না। আমি এ প্রতিষ্ঠানের একমাত্র সহকারী অধ্যাপক। আমার জুনিয়র শিক্ষকরা সামনের চেয়ারে বসে থাকে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মহোদয় কিছু বলেন না। মাউশির নীতিমালায় বলা আছে অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে। তারপরও কীভাবে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেটি জাতির কাছে, জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা প্রশ্ন? আমার প্রিন্সিপাল যখন একজন তখন আমি এ প্রতিষ্ঠানের বাইরে তো না। কিন্তু গভর্নিং বডির সদস্যরা সেটি মানতে চান না। তাছাড়া কলেজে তালা লাগানো থাকায় বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সেটির সুষ্ঠু সমাধান চাই। বর্তমানে ক্লাব বর্জন চলছে। একাদশ শ্রেণিতে উপবৃত্তির ফরম জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি। এসব কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। যারা যৌক্তিকভাবে এ নিয়োগের বিরোধীতা করছে তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের বলা হচ্ছে তোমাদের প্রমোশন কীভাবে হয় দেখে নেবো। এ বিষয়ে শামীমা সুলতানা এর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে বেশ কিছু শিক্ষার্থী জানান, নাজনীন ম্যাডাম ও শামীমা ম্যাডাম দুজন-ই আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। আমরা চাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হোক।
কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আয়েশা আক্তার রিক্তা ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, অধ্যক্ষ আবু রাশেদ স্যার গত ১২ ফেব্রুয়ারি চাকরিতে অবসর নিয়েছেন। নিয়ম হচ্ছে অবসর নেয়ার কমপক্ষে ৩ মাস আগে একটা রেজুলেশন করতে হয় এবং ভারপ্রাপ্ত হিসেবে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে তারপর যেতে হয়। আমি যতদূর শুনেছি সভাপতি মহোদয় উনাকে বার বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও উনি গভনিং বডির কোনো মিটিং ডাকেননি। উনি অবসরে যাওয়ার আগের দিন কাউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যাননি। এছাড়া যেদিন অবসরে গেছেন সেদিন গোপনে ডিসি অফিসে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন। আমরা সাধারণ যারা শিক্ষক আছি তারা উনাকে বিদায় দেয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। উনি কলেজে আসেননি এবং জানিয়েছেন শিক্ষকদের বিদায় উনার প্রয়োজন নেই। এটা কেনো কি উদ্দেশ্যে করেছেন আমি বলতে পারবো না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নীতিমালা পড়লাম এবং কলেজের সভাপতি যে নীতিমালা আমাদের দেখিয়েছেন সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে এখানে যাকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিতে হবে সেই বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হতে হবে। এখানে সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিএম শাখা অথবা বিএমটি শাখাটি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত না। এ কারণে নাজনীন ম্যাডাম এক মাসের সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও গভনিং বডি উনাকে দায়িত্ব দিতে পারেনি। আমরা শুনেছি শামীমা সুলতানা ম্যাডামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মৌখিকভাবে। যদিও রেজুলেশনের কপি আমরা দেখিনি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি শামীমা ম্যাডামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী পৌর ডিগ্রী কলেজের কলেজের প্রভাষক আব্দুল কুদ্দুস রতন জানান, প্রিন্সিপাল আবু রাশেদ গত ১২ ফেব্রুয়ারি অবসরে গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে কলেজে চাকরিরত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে একজনকে দায়িত্ব দিতে হবে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এ দায়িত্ব পাওয়ার কথা বিএম শাখার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসা: নাজনীন আরা খাতুনের। কিন্তু নিয়ম লংঘন করে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র পদার্থ বিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শামীমা সুলতানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা চাই নিয়ম মেনে সরকারি বিধি মোতাবেক সহকারী অধ্যাপক নাজনীন আরা খাতুনকে দায়িত্ব দিতে গভর্নিং বডির সদস্যদের অনুরোধ করছি। প্রভাষক রতন আরো বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ বিষয়ে প্রভাষক আয়েশা আক্তার রিক্তা পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দিয়ে তার নিজের কোল ভারি করেছেন।
কলেজের আরেক প্রভাষক কুতুব উদ্দীন জানান, প্রিন্সিপাল আবু রাশেদ অবসরে যাওয়ার পর সরকারি বিধি অনুযায়ী নাজনীন আরা খাতুনকে দায়িত্ব দেয়ার কথা। সেটি না করে পদার্থ বিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শামীমা সুলতানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এটা নিয়ম বহির্ভুত। আমরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে এ বিষয়ে অবগত করেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন এ ব্যাপারে এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া সাংবাদিকদের কাছে প্রভাষক আয়েশা আক্তার রিক্তা যা বলেছেন তা সব সঠিক নয়।
এছাড়া প্রভাষক আয়েশা আক্তার রিক্তার বক্তব্যর বিষয়ে সাবেক অধ্যক্ষ আবু রাশেদ মোবাইলফোনে বলেন, বাংলা বিষয়ের প্রভাষক আয়েশা আক্তার রিক্তা যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গভর্নিং বডি মিটিং এর জন্য কলেজের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সাথে আমি নিজে অফিসে যেয়ে অনেকবার গভর্নিং বডি সভার আহ্বান জানানোর কথা বলেছি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তিনি গভর্নিং বডির সভার ডেট দেননি এবং সর্বশেষ গত ১১/০২/২০২৫ ইং তারিখে তিনি গভর্নিং বডি সভার তারিখ নির্ধারণ করেন আর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্ধারণ করার জন্য যে তিন মাস পূর্বে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা লাগে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। ১২/০২/২০২৫ তারিখে আমার চাকরীর শেষ কর্মদিবস ছিল নিয়ম অনুযায়ী আমি ৪টা পর্যন্ত কলেজে অবস্থান করেছিলাম এবং কলেজে উপস্থিত শিক্ষক কর্মচারীর সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করে পরবর্তীতে আমি সভাপতি মহোদয় এবং ডিসি মহোদয়ের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ শেষে আমার বাসা ঝিনাইদহ উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.