স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন-২০২০ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং নিরপেক্ষতা যাতে জনগণের নিকট দৃশ্যমান হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের আহ্বায়ক জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদের নেতৃত্বে এ টিম পরিদর্শনে বের হন।
এ সময় পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সহকারী পরিদর্শক সামিউল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসার (অ.দা.) বেলাল হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান এবং সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
পৌর এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ জানান, নির্বাচনে বিলবোর্ড, ব্যানার ও মাইকিং আচরণবিধি অনুযায়ী হচ্ছে কিনা সেটাই যাচাই করতে পরিদর্শনে বের হই। তবে, কোথাও আচরণবিধি পরিপন্থি কোনোকিছু আমরা পায়নি। এভাবে বাকী দিনগুলো প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলবে বলে আশা করি।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩২ হাজার ৮১৮ জন এবং মহিলা ভোটার ৩৪ হাজার ৯৯০ জন। পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ১৭২ জন বেশি। নির্বাচনে মেয়র পদে ১টি, সাধারণ ওয়ার্ড ৯টি, মোট সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ৩টি, মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৩টি, মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১৯৭টি, কোনো অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র নেই এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৫টি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে ১টি মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মনি (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী তুষার ইমরান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু (মোবাইল ফোন), অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ (নারিকেল গাছ), অ্যাড. সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ (জগ) এবং তানভীর আহমেদ মাসরিকী (কম্পিউটার) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৩টি পদে মোট ১৩ জন প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর ৯টি পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।