চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দায়সারা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সিভিল সার্জনের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে এ প্রতিবেদনে কোন বিষয়ই স্পষ্ট করেনি তদন্ত কমিটি। যদিও তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ধরাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্তে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন সিভিল সার্জন। কমিটির সদস্যরা গত ৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউট সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গত ১৩ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভর্তির বিষয়ে কমিটি থাকা সত্ত্বেও সঠিক নিয়মে রেজুলেশন না করে সরকার নির্ধারিত ও নিবন্ধন ফি সাথে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে করেছে। আবার তারপরই উল্লেখ করেছে- পরবর্তীতে এই ধরনের আর্থিক বিষয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে করা যেতে পারে। আরও উল্লেখ রয়েছে- রেজুলেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ভর্তি কমিটির মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। এরপর বলা হয়েছে- তিনজন সদস্য বলেন, অর্থ আদায়ের বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তাদের। আর বাকী দুজন বলেন, অর্থ আদায়ের বিষয়ে তাদের কোন কিছুই জানানো হয়নি। আর্থিক বিষয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে বিষয়ে যে পার্থক্য দেখা দিয়েছে তা সমীচীন না তবে ভর্তি কমিটি কর্তৃক রেজুলেশনের মাধ্যমে সম্পাদন করলে ভালো হত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে তদন্তের সময় সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সেদিন নিজ ক্ষমতা বলে সব শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন ইন্সট্রাক্টর ফরিদা ইয়াছমিন। তাই উপস্থিত মাত্র তিনজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ইন্সট্রাক্টরদের স্বামীদের অনাধিকার চর্চার কোন সত্যতা তদন্ত কমিটি পায়নি। এছাড়াও তদন্ত প্রতিবেদনে অধিকাংশই পরামর্শ প্রদান করতে দেখা গিয়েছে। আবার পরামর্শ প্রস্তাবনার স্থানে ‘আর্থিক বিষয়ে অডিট করা যেতে পারে’ বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদি জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। কারন তাদের কন্ট্রোলিং ভিন্ন। সেক্ষেত্রে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি জেলা প্রশাসক ও ডিজিএম বরাবর পাঠিয়েছি। এদিকে সচেতনমহল মনে করেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More