চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড়ের মসলেম ও সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জাল দলিল করে জমি জোর করে দখলে রাখার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড় ফায়ার সার্ভিসপাড়ার মসলেম আলী মন্ডল ও সিদ্দিক আলী মন্ডল দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জাল দলিল করে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুরত আলীর ছেলে মো. জিয়া মন্ডল। জাল দলিলকারী মসলেম আলী মন্ডল ও সিদ্দিক আলী মন্ডল আলুকদিয়া ইউনিয়নের ফায়ার সার্ভিস পাড়া মৃত আজিবর মন্ডলের ছেলে।
হাজরাহাটির জিয়া মন্ডলের অভিযোগ, তার পৈত্রিক সম্পত্তি (যাহা দাদীর নামে এস.এ ও আর, এস রেকর্ড) ১ একর ২৮ শতক জমি জাল দলিল করে। জোর করে দখল করে রেখেছেন। মসলেম আলী মন্ডল ও সিদ্দিক আলী মন্ডল, দুই ভাই জাল দলিল করে ৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিঃ তারিখে দলিল নং ৩৫৭/৬৯ নং দলিলে জিয়া মন্ডলের দাদীর নাম খাতুন নেছা হওয়া স্বত্বেও মোছা. আমেনা খাতুন নাম ব্যবহার করে মসলেম আলী মন্ডল ও সিদ্দিক আলী মন্ডল ক্রেতা দেখিয়ে এবং জিয়া মন্ডলের দাদী হিসেবে। হাজরাহাটি গ্রাম উল্লেখ্য মোছা. আমেনা খাতুন নাম ব্যবহার করে দলিলে ১ একর ২৮ শতক সম্পত্তি যা ৩নং মনিরামপুর মৌজা, উল্লেখ্য ০৪/০১/১৯৬৯ খ্রিঃ তারিখের চুয়াডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল নং ৩৫৭/৬৯ নং ব্যবহার করে সি.এস ৭২ ও এস.এ ৮০নং খতিয়ানের ৫১ টি দাগের সম্পত্তি উল্লেখ করে একটি জাল দলিল প্রস্তুত করিয়া রাখেন। পরবর্তীতে মসলেম আলী মন্ডল ও সিদ্দিক আলী মন্ডল ওই জাল দলিলকে সঠিক দলিল হিসেবে জাল দলিলের কপিসহ আরো কয়েকটি ভুয়া দলিল যাহা ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে রেজিস্ট্রি দেখাচ্ছে কিন্তু বিক্রেতাদের সহিত ৩ নং মনিরামপুরের সি.এস ৭২ ও এস,এ ৮০ খতিয়ানের দাগ গুলিতে যথেষ্ট গড়মিল রয়েছে। দলিলগুলিতে আর.এস দাগ খতিয়ান উল্লেখ্য না থাকায় এবং জমির পরিমাণের সঠিকতা না থাকা সত্ত্বেও আর.এস রেকর্ডের পর রেজিস্ট্রিকৃত দলিলগুলো চুয়াডাঙ্গা অ্যাসিল্যান্ড অফিস ব্যবহার করে মসলেম আলী মন্ডল ও সিদ্দিক আলী মন্ডলের নামে ২২৭/ওঢ-ও/১৬-১৭ নং নাম খারিজ কেসে খারিজ করে রাখেন এবং নাম খারিজের পূর্বে ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গত ০৪/০১/৬৯ খ্রি. তারিখে। চুয়াডাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ৩৫৭/৬৯ নং দলিল যা খারিজে ব্যবহৃত আরও কয়েকটি দলিলে সম্প্রতি খরিদ করেছেন মর্মে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রিত দলিলে ৩৫৭/৬৯ নং দলিলের সহিত উক্ত দলিলগুলো বায়া দলিল হিসেবে ব্যবহার করে একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করেছে। বিক্রিত দলিল নাম্বারে সার্টিফাইট কপি উত্তোলন করা আছে। যার সংখ্যা অনেক, ক্রেতারা কেউ তাদের নামে নাম খারিজ ও খাজনা করতে পারেনি, এরপর আবার নতুন করিয়া উক্ত জাল দলিলে ভুয়া, মিথ্যা, বানোয়াট খারিজ করিয়া পরবর্তীতে আরও ৬ খানা দলিল করে ও একটি রেজিস্ট্রা বায়নানামা দলিল সম্পাদন করিয়া জমির পরিমাণ ০৬৬০ একর আনারুল হোসনে ও কবির হোসেনের জাল দলিল ও ভুয়া খারিজ জানা স্বত্বেও একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় সদস্য নাম রাখিয়া উক্ত দলের নেতার নাম ভাঙ্গাইয়া জবর দখল বাণিজ্য চালাচ্ছে। মসলেম আলী মন্ডল ও সিদ্দিক আলী মন্ডল ওই ব্যক্তিদের সহায়তায় এ সমস্ত জাল ও ভুয়া কাগজ দিয়ে অন্যান্য শরীকগণের নামে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। আবার আমাকেও হয়রানি করেছে। সেই সাথে সরকারেরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমার এবং আমাদের অন্যান্য শরীকগণের উক্ত জমি উদ্ধারসহ জালিয়াতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের ভুক্তভোগী জিয়া মন্ডল ও অন্যান্য শরীকগণ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More