চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দাপ্তরিক হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্নজনের কাছে টাকা দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের দাপ্তরিক মোবাইলফোন নম্বর দিয়ে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ আইডি হ্যাক করে বিভিন্নজনের কাছে টাকা দাবি করেছে প্রতারক চক্র। জরুরি প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে পাশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্নজনের কাছে বিকাশ নম্বর পাঠিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দাপ্তরিক হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হ্যাক হয়েছে। প্রথমে জেলা প্রশাসকের মোবাইলফোন নম্বরে কল করা হয়, পরে হোয়াটসঅ্যাপ আইডি হ্যাক করা হয়। পরে হোয়াটসঅ্যাপ আইডি থেকে কন্টাক্ট তালিকায় থাকা সব নম্বরে প্রতারক চক্র অভিন্ন বার্তা পাঠায়। সেখানে লেখা হয়, ‘আর্জেন্ট ১৫ হাজার টাকা লাগবে। এখন এই নম্বরে পাঠায়ে দিয়েন।’ সেখানে ‘বিকাশ পার্সোনাল’ একটি নম্বর দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, সকালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তার দাপ্তরিক নম্বরে কল করা হয়। কক্সবাজার থেকে এসআই মাসুম পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘স্যার আপনার নম্বরটা পুলিশের সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। এটা তো এখানে থাকার কথা না, ঠিক আছে, আমি ঠিক করে দিচ্ছি।’ অপরিচিত ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা শেষ করার কিছুক্ষণ পর বিভিন্নজন কল করে ১৫ হাজার টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানাতে থাকেন। যারা তাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন বা জানেন, তারাও হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানান। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান। নম্বর ট্র্যাকিং করে দেখা যায়, প্রতারক চক্রের অবস্থান রাজশাহীর বাঘায় এবং যে দুজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিম ওঠানো হয়েছে, সেখানে ঠিকানা দেয়া বরিশাল। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় জিডি করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল এবং জেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তারা ফোন করে টাকা চাওয়া ও হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানান। সফটওয়্যারগত কৌশল অবলম্বন করে এ প্রতারণা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার খোন্দকার গোলাম মওলা বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে প্রতারণার ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.