চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আজ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। চুয়াডাঙ্গার ১২টি কেন্দ্রের এবং মেহেরপুরের ১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ হাজার ৪১৩ জন এবং মেহেরপুরে অংশ নেবেন ৬ হাজার ১১৪ জন পরীক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১২টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় ১০ হাজার ৪১৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। পরীক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর অধীনে সশস্ত্র প্রহরায় প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছাবে। তবে, শূণ্য পদের সংখ্যা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস নির্ধারণ করতে পারেনি।
জেলা পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ফৌজাদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারী করবেন। চুয়াডাঙ্গায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্রসমূহ ও পরীক্ষাার্থীর সংখ্যা হলো, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ (কেন্দ্র-১) ১০০০ জন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ (কেন্দ্র-২) ৯০৬ জন, আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজ ১০০০ জন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ ১৩১৩ জন, দামুড়হুদা আব্দুল ওদদু শাহ ডিগ্রি কলেজ ১০৯০ জন, ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৯৫০ জন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১০০০ জন, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুল ৮০২ জন, এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৫০ জন, সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৫০ জন, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ৪৫২ জন এবং সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০০০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন’র জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শূন্য পদের সংখ্যা বলতে পারছি না।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০ অনুষ্ঠিত হবে আজ শুক্রবার। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার ৬ হাজার ১১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। জেলা সদরের ১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ অনুষ্ঠিত হবে। মেহেরপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ১৫০৮ জন, সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৬৮২ জন, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮০০ জন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৫০ জন, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪৮০ জন, সহিউদ্দীন ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে ৬৭২ জন, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এন্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে ৩০০ জন, মেহেরপুর দারুল উলুম আহমাদিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ৪৫০ জন, কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল কেন্দ্রে ২৫০ জন ও জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভূপেন রঞ্জন রায় বলেছেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো ঠিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে ওই সময় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সকাল সাড়ে ১০ টার পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জেলা শহরের সবগুলো ফটোকপিয়ারের দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো পরীক্ষার্থী বই, খাতা, ক্যালকুলেটর, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ইলেক্ট্রনিক ঘড়ি, উত্তরপত্র, নোট বা কোনো কাগজ, ভ্যানেটি ব্যাগ, পার্স, মোবাইল ফোন বা কোনো ধরণের বস্তু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
এসব নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে বাহিস্কার বা তাৎক্ষনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মেহেরপুর জেলা তথ্য অফিস প্রচারপত্র বিলি করছেন।