চুয়াডাঙ্গায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর জখম মামলার রায়

আলুকদিয়ার শাহ আলমের ১১ বছরের জেল-জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর জখম মামলায় শাহ আলম নামে এক যুবকের ১১ বছর সশ্রম কারাদ- ও ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। দ-প্রাপ্ত শাহ আলম (২৭) চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া চকপাড়ার মৃত রহিমের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দ-প্রাপ্ত শাহ আলমের আলুকদিয়া চকপাড়াস্থ বাড়ির সামনে সাইকেল মেরামতের একটি দোকান আছে। ২০২২ সালে ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ওই এলাকার লালনের ছেলে আমির হোসেনকে তার দোকানের সামনে রাখা সাইকেল একটু সরিয়ে নিতে বলে। এ নিয়ে দ-প্রাপ্ত শাহ আলমসহ অভিযুক্ত আসামিদের সাথে বাকবিত-া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে ১নং বাদি একই এলাকার হায়দার আলীর ছেলে মাফিজুর রহমান (১৭) ও ২নং বাদি লালন শেখের ছেলে আমির হোসেন আলুকদিয়া চকপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে একই এলাকার কিতাব মন্ডলের ছেলে সাইজুলের দোকানের সামনে পৌঁছুলে আসামিরা মাফিজুর রহমান ও তার বন্ধু আমির হোসেনকে গতিরোধ করে। এ সময় দ-প্রাপ্ত শাহ আলম তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাফিজুর রহমানকে পেটে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এ সময় তার ভুড়ি বেরিয়ে যায়। ওই সময় তার সাথে থাকা বন্ধু আমির হোসেন তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে শাহ আলম তাকেও খুন করার উদ্দেশ্যে পেটের ডান পাশে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত কাটা জখম করে। তারা দুজন ডাকচিৎকার দিলে মামলার সাক্ষীরাসহ আশেপাশে লোকজন জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে অটো ভ্যানযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনার পরদিন মাফিজুর রহমানের পিতা হায়দার আলী ও আমির হোসেনের পিতা লালন শেখ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দ-প্রাপ্ত শাহ আলমকে ১নং আসামি, তার মা রেনু রেনুকে ২নং আসামি ও তার ভাই জুয়েলকে ৩নং আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি দ-প্রাপ্ত শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুম বেল্লা। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শাহ আলম দোষি সাব্যস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। রায়ে পেনাল কোডের ১৮০ এর ৩২৬ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদ- এবং ৩০৭ ধারায় ৫ বছর ও ১০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদ- অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদ- দেয়া হয়। এছাড়া ৩২৪ ধারায় এক বছরের কারাদ- ও ৩ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদ- দেয়া হয়। রায়ে আরও বলা হয়েছে দোষি সাব্যস্তকৃত অভিযুক্তের প্রদত্ত সকল দ- একত্রে চলবে। ১৮৯৮ এর ৩৫এ ধারার বিধান অনুযায়ী অত্র মামলায় দ-িত আসামি এই দ-ের পূর্ববর্তী সময়ে যে মেয়াদকাল হাজতবাস করেছেন তা উপরোক্ত কারাদ- হতে বিয়োজন হবে। এছাড়া দ-প্রাপ্ত আসামির পরিশোধের সমুদয় অর্থ ১৮৯৮ এর ৫৪৫ (১) ধারা অনুযায়ী মামলা পরিচালনার খরচ ও ভিকটিমদের চিকিৎসা বাবদ পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More