স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের একদিন পর জিল্লুর রহমান চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বুধবার সকাল পৌনে ১০ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যু বরণকারী জিল্লুর রহমান (৪০) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পুরাতন ভান্ডারদহ গ্রামের রজীপুরপাড়ার নায়ের আলীর ছেলে ও পেশায় আলমসাধু চালক ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে চুয়াডাঙ্গা দৌলৎদিয়াড় গ্রামের হক ব্রাদার্স এর মালামাল সরবরাহ করার জন্দেয আলমসাধুযোগে সরোজগঞ্জ যাচ্ছিলেন জিল্লুর রহমান। পথিমধ্যে ছয় মাইল নামকস্থানে পৌছুলে আলমসাধুর সামনের চাকার এক্সেল ভেঙ্গে যায়। এতে আলমসাধুতে থাকা মালামালের নিচে জিল্লুর রহমানের চাপা পড়ে। এতে জিল্লুর রহমানের বুকে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাই। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রক্ত বমি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তৎক্ষণিক রাজশাহী রেফার্ড করেন। সেই দিন সকালেই জিল্লুর রহমানকে রাজশাহীতে নেই তার পরিবারের সদস্যরা। পরদিন গতকাল বুধবার সকালে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে, গতকাল বুধবার বাদ মাগরীব জানাযার নামায শেষে ভান্ডারদহ গ্রাম্য কবরস্থানে জিল্লুর রহমানের মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। এর আগে বিকেলে লাশবাহী গাড়িতে জিল্লুর রহমানের মরদেহ গ্রামে পৌছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে এক নজর দেখতে শতশত লোকজন ভীড় জমাতে থাকেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন মেয়ে (অবিবাহিত) সহ অসংখ্য গুনগাহী রেখে গেছেন। একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়ে। নিহত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, আমার স্বামী সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যা আয় করতো তা দিয়েই টেনেটুনে কোন রকম সংসারটা চলতো। এখন তিন মেয়েকে নিয়ে আমি কি করবো। কি খাবো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী যে প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়োজিত ছিল তারা একবারের জন্যও খোজ নেইনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ