চুয়াডাঙ্গায় মাদক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধকল্পে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়সভায় বিভাগীয় কমিশনার
শুধু প্রতিরোধের মাধ্যমে নয় বাল্যবিয়ে বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মাদক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধকল্পে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে সোলার সিস্টেম ও সেলাই মেশিন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চত্বরে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, জেলা আওয়ামীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহ আলম সনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাব্বি হাসান, সাদেমান নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরিয়তউল্লাহ, পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা, জেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাশরুহসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন নারীরা। আজ নারীরা অনেক এগিয়ে। তাই নারীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। বাল্যবিয়ে সমাজের জন্য একটি অভিশাপ। শুধু প্রতিরোধের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব না। জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝাতে হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে আশ্রয়ন প্রকল্প চালু করেছে সরকার। একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমাদের সন্তানেরা দিন দিন মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদক থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় আগ্রহ বাড়াতে হবে। পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ২৮টি লেডিস বাইসাইকেল, ৩ হাজার স্যানেটারি ন্যাপকিন, ২৫ হাজার মাস্ক ও ৬০টি ইনফ্লোয়েড থার্মোমিটার, আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে ১০টি সেলাই মেশিন, ১০টি স্ট্রিট সোলার সিস্টেম প্রদান করা হয়।