স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘ব্ল্যাককবেঙ্গল গোটে পিপিআর রোগ ছাড়া আর কোন রোগ হয় না। ব্ল্যাকবেঙ্গল গোটের সম্প্রসারণে পাঁঠা সমস্যা না থাকে সেদিকে কর্মকর্তাদের খেয়াল রাখতে হবে। পদ্ধতিগত জটিলতা ছাড়াই খুব সহজেই খামারিরা পাঁঠা পেতে পারেন বিষয়টি ভেবে দেখবেন।’ গতকাল রোববার দুপুরে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ব্ল্যাকবেঙ্গল গোট উন্নয়ন মেলা-২০২১ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা বলেছেন।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতাল ব্ল্যাকবেঙ্গল গোট উন্নয়ন মেলা বাস্তবায়ন করেছে। সহযোগিতায় ছিলো ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামিমুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক (অব.) সিদ্দিকুর রহমান, সহকারী পুলিশ অফিসার (প্রবেশন) সজিব হোসেন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) লুৎফুল কবীর উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ছাগল উন্নয়ন খামারের কর্মকর্তা আরমান আলী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া খামারি ফরিদা পারভীন বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, প্রকৃত ব্ল্যাকবেঙ্গল গোট হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদের সহযোগিতায় আপনারা ব্ল্যাকবেঙ্গল গোট জাতকে ধরে রাখবেন। জাতিসংঘরে সর্বোচ্চ সংস্থা থেকে ব্ল্যাকবেঙ্গল গোটকে স্বীকৃতি দিয়েছে। খামারিরা আমাকে আমন্ত্রণ জানালে ব্ল্যাকবেঙ্গল গোটের চিকিৎসা তিনি দেবেন।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.এএইচএম শামিমুজ্জামান বলেন, খামারিদের ১ লাখ ২২ হাজার ব্ল্যাকবেঙ্গল গোটকে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা দেয়া হয়েছে। ব্ল্যাকবেঙ্গল জেলার ব্র্যান্ডিং। তার সুনাম ধরে রাখতে হবে। ৩টি ঘর খামারিদের তৈরী করে দেয়া হয়েছে। আরও ঘর বরাদ্দ হবে। মহিলারা গরু-ছাগল পালন করে থাকেন। উপজেলা অফিসে পাঁঠা পেতে আবেদন করলে জেলা অফিসের অনুমোদনের পর খামারিরা পাঁঠা পেয়ে থাকেন।