চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে পেঁয়াজের আবাদ : দাম কমে যাওয়ায় হতাশ কৃষক

আনোয়ার হোসেন: কয়েক মাস ধরে বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল অনেক বেশি, এ কারণে এবার বেড়েছে পেঁয়াজ চাষ। চুয়াডাঙ্গা জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২৮ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমিতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলায় এ মরসুমে মোট ১১৮৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ১৫০৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ১১৫ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৯৬৬ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ২২৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ১৯৭ হেক্টর। চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার সর্বমোট ১৫০৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন চাষীরা। পেঁয়াজ তরকারিতে মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়। বেশির ভাগ মানুষের কাছে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি অকল্পনীয়। গ্রীষ্ম-শীত উভয় ঋতুতেই পেঁয়াজের চাষ হয়। তবে গ্রীষ্ম মরসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়। শীত মরসুমে পেঁয়াজ চাষের উপযুক্ত সময়। চলতি শীত মরসুমেও চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষক পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ মরসুমে সাধারণত নভেম্বরের শুরুতে পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়। এখন চলছে পুরোদমে পেঁয়াজ চাষ। জেলায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের জমি গত বছরের চেয়ে ৩২৮ হেক্টর বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা চাঁনপুর গ্রামের চাষি মিজানুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, আমির আলী ও শাহাবুদ্দিন বলেন, এক বিঘা জমিতে দেশি পেঁয়াজ চাষ করতে খরচ হয় ৪৭ থেকে ৪৮ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি। পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ৮০ থেকে ৮২ মন। গত বছর পেঁয়াজ বিক্রয় করেছিলাম প্রতি মন ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এ বছর পেঁয়াজের বর্তমান বাজার দর চলছে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা মন এবং খুচরা বিক্রয় হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এবার পেঁয়াজ চাষে অনেক লস হবে বলে মনে করছেন চাষীরা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More