চুয়াডাঙ্গায় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের পুরস্কার বিতরণকালে শরীফুজ্জামান
খেলার মাধ্যমে সাম্য সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয় ছাত্রদলের
স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা চাঁদমারি মাঠে আয়োজিত জেলা ছাত্রদলের একটি টিম ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। দুটি টিমের নাম হয় মাহমুদ হাসান খান বাবু একাদশ ও শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ। লটারিতে জেলা ছাত্রদলের টিম নাম পায় শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ এবং পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের টিম নাম পায় মাহমুদ হাসান খান বাবু একাদশ। টসে জিতে শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশের অধিনায়ক জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ ১২১ রান সংগ্রহ করে। ১২২ রান তাড়া করতে গিয়ে মাহমুদ হাসান খান বাবু একাদশ হাতে বল রেখেই ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ ২৪ রানে জয়লাভ করে। খেলা উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। এসময় তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দল। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময়ই দেশের কল্যাণে নিবেদিত থেকেছেন। ৫ আগস্টের আগে ও পরে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার শক্ত হাতে দুষ্টের দমন করছেন। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীর্ষ পর্যায় থেকে খেলাধুলার আয়োজন যুবসমাজের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দ্বার প্রসারিত করবে। খেলার মাধ্যমে শারীরিক উপকারিতার পাশাপাশি সাম্য সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল হাসান হ্যাজি, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমরান মহলদার রিন্টু ও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন আক্তার। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক সাইমুজ্জামান মিশা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কার পান শাহাবুদ্দিন আহমেদ বুদ্দিন ও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের পুরস্কার পান কৌশিক আহমেদ রানা। এছাড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এমএ তালহার পক্ষ থেকে এই তিন জনকে প্রাইজ মানি দেয়া হয়। আম্প্যায়ারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মো. রাজিন খান ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির আকাশ। ধারাভাষ্যকার ছিলেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম ও সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর। স্কোরার ছিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রকিবুল হাসান, ছাত্রনেতা পিয়াস, এখলাছ ও সাইফুল। মাহমুদ হাসান খান একাদশের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা (অধিনায়ক), সদস্য সচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল, সদস্য সচিব সাইমুম আরাফাত, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান কনক, সদস্য শাহরুখ খান। অপরদিকে শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক জুয়েল (অধিনায়ক), সহ-সভাপতি আশিপুল হক শিপুল, এমএ মক্কি, শুভ জামান, বুদ্দীন, যুগ্ম-সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, আরিফ আহমেদ শিপ্লব, সাইমুজ্জামান মিশা। ব্যবস্থাপক ও ম্যাচের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে একদিনের ফুটবল টুর্নামেন্ট গতকাল সকাল দশটায় খেলা শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়। ইতোপূর্বে যারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে আটজনের নামে সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের সমন্বয়ে ৮টি টিম গঠন করা হয়। টিমগুলো হলো শহীদ ওয়াসিম আকরাম একাদশ, শহীদ আল ইমরান সুমন একাদশ, শহীদ নাজমুল হাসান একাদশ, শহীদ লালন একাদশ, শহীদ আব্দুল হাই বল্টু একাদশ, শহীদ সিরাজুল ইসলাম একাদশ, শহীদ জামাল একাদশ ও শহীদ উসমান একাদশ। ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় শহীদ সিরাজুল ইসলাম একাদশ ও শহীদ আব্দুল হাই বল্টু একাদশ। ট্রাইব্রেকারে শহীদ সিরাজুল ইসলাম একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মো. রাজিব খান, যুগ্ম-সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন বাবলু, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম সরোয়ার হিমু, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতা একরামুল হক, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মাস্টার, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, নাজমুস সাকিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক বিক্রম সাদিক মিলন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. আবু সুফিয়ান, সহযোগাযোগ সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক মিয়া প্রমুখ। টুর্নামেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মাহবুব।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.