স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকা থেকে মাছাদ হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে নেশাজাতীয় কিছু পান করিয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুই প্রতারক।
গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ হাইওয়ে ফিলিং স্টেশন তেলপাম্পের নিকট থেকে অপর ইজিবাইক চালক মাছাদ হোসেনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার পাকস্থলী ওয়াশ করে ভর্তি করেন। মাছাদ হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলাতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিণপাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে।
মাছাদ হোসেনের স্ত্রী লাকি খাতুন বলেন, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার আমার স্বামী ইজিবাইক নিয়ে বের হন। দুপুরে আমার ভাসুর রাজিবের মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্বামীকে কেউ অচেতন করে ইজিবাইকটি নিয়ে গেছে প্রতারক। দু’মাস আগে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ইজিবাইকটি ক্রয় করে আমার স্বামী। আমাদের একটা চার বছরের সন্তান রয়েছে। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ইজিবাইকটি হারিয়ে আমাদের এখন পথে বসা ছাড়া উপায় নেই। ইজিবাইকটি উদ্ধারের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
রাজিব হোসেন বলেন, আমার ইজিবাইক নিয়ে সরোজগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসছিলাম। ডিঙ্গেদহ তেলপাম্পের নিকট পৌঁছুলে রাস্তার এক পাশে মাছাদ হোসেনকে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি করতে দেখি। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি মাছাদকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, পুলিশ পরিচয়ে দুজন প্রতারক তার ইজিবাইকে ওঠে। পরে ডিঙ্গেদহ এর কোন এক জায়গায় চা-বিস্কুট এর সাথে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে পান করিয়ে দেয়। তারপর কি হয়েছে আর বলতে পারিনি। এরপর থেকে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আহসানুল হক বলেন, মাছাদ হোসেনকে নেশাজাতীয় কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তার পাকস্থলী ওয়াশ করেছি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আমি ঘটনাটি এখনো শুনিনি। অভিযোগ পেলে প্রতারকদের চিহ্নিত করে ইজিবাইকটি উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ